সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, শ্রীরামপুর: কলকাতা থেকে জেলা, দিকে দিকে ভ্যাকসিন অপ্রতুলতার ছবি। আর তার জেরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিন কেন্দ্রগুলোতে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। রাত জেগে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়েও অনেক সময় ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। কখনও আবার ভ্যাকসিন না পেয়ে বিক্ষোবের জেরে কারোর ফাটছে মাথা। আর এতে সাধারণ মানুষের হয়রানি বাড়ছে। এই অবস্থা দূর করতে উদ্যোগ নিল শ্রীরামপুর পুরসভা। এতদিন শুধু পুরসভার স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছিল। বয়স্ক মানুষদের জন্য দুয়ারে ভ্যাকসিন হয়েছে কিছু কিছু। এবার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্যাকসিন শিবির চালু হল।


জানা গিয়েছে, আজ পুরসভার চার ও সাত নম্বর ওয়ার্ডে দুটি শিবির করা হয়। দুই শিবির মিলিয়ে মোট ৬০০ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। পুর প্রশাসক অমিয় মুখোপাধ্যায় জানান, ভ্যাকসিনের জোগান এমনিতেই কম তাই ভ্যাকসিন নিয়ে বিশৃঙ্খলা অশান্তি ঠেকাতে চেষ্টা করছে পুরসভা। যতটুকু আছে তা যাতে মানুষ সঠিক ভাবে পায় তার চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারি ভাবে যেমন ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে তেমন বেসরকারি উদ্যোগকেও কাজে লাগানো হচ্ছে। শ্রীরামপুর পুরসভার ২৯ ওয়ার্ডেই পর্যায়ক্রমে এই শিবির চলবে। এর ফলে ওয়ার্ডের বাসিন্দারা তাদের নিজেদের ওয়ার্ডেই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন। এর ফলে ওয়ার্ডের কত লোক ভ্যাকসিন পেল কতজন বাকি থাকল তার হিসাব পেতেও সুবিধা হবে।


গত মাসেই হুগলির সিঙ্গুরে ভ্যাকসিনের লাইনে বিশৃঙ্খলা থেকে হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে মাথা ফাটে এক মহিলার। ঘটনার দিন সিঙ্গুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য সকাল থেকেই লাইন পড়ে। যথেষ্ট ভিড়ও ছিল। সকাল ১০টা নাগাদ ভ্যাকসিন কেন্দ্র খোলা মাত্রই হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। সেই সময় পড়ে গিয়ে আহত হন ওই মহিলা। এ বিষয়ে সিঙ্গুরের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মেসেজ পেয়ে অনেকে এসেছিলেন। সেই ভিড় থেকেই বিশৃঙ্খলা হয়।  তবে অনেককে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছ। যাঁরা পাননি, তাঁদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।