সনৎ ঝা, ফাঁসিদেওয়া (দার্জিলিং): দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়ায় তৃণমূল নেতার বাড়িতে জাল মদ তৈরির কারখানার হদিস। বাজেয়াপ্ত স্পিরিট বোঝাই ড্রাম, কাচের বোতল বোঝাই কার্টন।
গত সোমবার মদ পাচারের অভিযোগে শিলিগুড়ি থেকে অভিযুক্ত শাসক নেতাকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ। এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চাপানউতোর।
তৃণমূল নেতার বাড়িতে জাল মদ তৈরির কারখানা। সেখান থেকে গ্যালন গ্যালন নকল মদ ভিন রাজ্যে পাচারের অভিযোগ।
দার্জিলিঙের ফাঁসিদেওয়া ব্লকের বিধাননগরে তৃণমূল নেতার গ্রেফতারিতে চরম অস্বস্তিতে ঘাস-ফুল শিবির। ধৃতের নাম বিশ্বজিৎ সরকার।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে বিহারে মদ পাচারের অভিযোগ উঠছিল। গত সোমবার বিশ্বজিৎকে শিলিগুড়ির গোপন ডেরা থেকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ।
সূত্রের খবর, অভিযুক্তকে জেরা করেই তাঁর বাড়িতে নকল মদ তৈরির কারখানার হদিস পান তদন্তকারীরা। শনিবার স্থানীয় থানাকে সঙ্গে নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালায় বিহার পুলিশ।
বাজেয়াপ্ত হয় স্পিরিট বোঝাই ৯০টি ড্রাম, কাচের বোতল বোঝাই ৩০টা কার্টন ও ৫০টা খালি ড্রাম। পুলিশের দাবি, উদ্ধার হওয়ায় স্পিরিটের বাজারমূল্য আনুমানিক ৪০ লক্ষ টাকা।
তৃণমূল নেতার গ্রেফতারি ও তাঁর বাড়িতে নকল মদ তৈরির কারখানার হদিস মেলায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, তৃণমূল নেতার বাড়িতে জাল মদ তৈরি হয়, এটা পুলিশ জানত না, হতে পারে না। এই নিয়ে ডেপুটেশন দিতে গেলে থানায় কোনও আধিকারিক ছিলেন না। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হোক। এই নিয়ে মামলা করার প্রস্তুতি শুরু করেছে দল।
দার্জিলিং তৃণমূল কংগ্রেস জেলা মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, অভিযুক্তের সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। বিজেপির অভিযোগের গুরুত্ব নেই। তবে কীভাবে জাল মদের কারখানা চলছিল সেটা প্রশাসনের দায়িত্ব।
কাদের সাহায্যে বিহারে নকল মদ পাচার করতেন ওই তৃণমূল নেতা? নকল মদ তৈরির সরঞ্জামের যোগান দিতেন কারা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ।