কলকাতা: সিবিআই দফতরে আজ হাজির হতে পারবেন না অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর সহযোগী। দু’জনকেই গরুপাচারকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজ তলব করেছিল সিবিআই। 


কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বীরভূমের তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত চিঠি দিয়ে সিবিআইকে জানিয়েছেন, তিনি কিডনির অসুখে ভুগছেন।  করোনার এই পরিস্থিতিতে তিনি বাড়ি থেকে বেরোতে পারবেন না। তাই তাঁকে আরও সময় দেওয়া হোক।


অনুব্রতর যে সহযোগীকে তলব করা হয়েছিল, তিনিও জানিয়েছেন, তাঁর পরিবারের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত।  তিনি হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। তাই তিনিও সিবিআই দফতরে আসতে পারবেন না। 


বীরভূমে ভোটের ঠিক মুখে গতকাল গরু পাচারকাণ্ডে বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি, অনুব্রত মণ্ডলকে তলব করে সিবিআই।


মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে তাঁকে হাজির হতে বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেই তাঁর এক সহযোগীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়।


পাল্টা বীরভূমে ভোটের মুখে অনুব্রতকে তলব করা নিয়ে সিবিআইয়ের দিকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলনেত্রী বলেন, ২৯ এপ্রিল বীরভূমে ভোট, তাই তলব, অনুব্রতকে সিবিআই দফতরে যেতে নিষেধ করেছি।


অনুব্রতকে সিবিআইয়ের তলবের ঘটনায় রাজনৈতিক অভিসন্ধীর অভিযোগও করেছে তৃণমূল।  


যদিও সিবিআই সূত্রে দাবি, গরুপাচারকাণ্ডে সাক্ষীদের বয়ানে অনুব্রত মণ্ডলের নাম উঠে আসে। সেই কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়েছে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে। 


সিবিআইয়ের আরও দাবি, বীরভূম হয়ে গরু পাচার হতো। বীরভূমে গরুর হাটও বসাত পাচারকারীরা। এই জেলার বিভিন্ন জায়গায় গরু রাখা হতো।


সিবিআই এর তলব নিয়ে সরাসরি কিছু না বললেও, নিজস্ব ভঙ্গীতে ফের খেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। উল্টোদিকে কটাক্ষের সুর শোনা গেছে বিজেপির গলায়।


এর আগে গত শুক্রবারই হিসেব বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগে অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিস দেয় আরেক কেন্দ্রীয় সংস্থা আয়কর দফতর।


নোটিস পাঠানো হয় তৃণমূল নেতার ৪ আত্মীয়কেও। ১০ দিনের মধ্যে সবার কাছে জবাব চাওয়া হয়েছে।