বীরভূম: ছোট ছোট পডুয়াদের পড়াশোনার জন্য তৈরি হয়েছিল এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। রাতের অন্ধকারে তীব্র বিস্ফোরণে মাটিতে মিশে গেল সেই শিক্ষাকেন্দ্র।
তৈরি হয়ে গেলেও প্রায় এক বছর ধরে পরিত্যক্ত ছিল বীরভূমের লোকপুরের এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাত দেড়টা নাগাদ প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা বাইরে বেরিয়ে দেখেন, উড়ে গিয়েছে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটি। বিস্ফোরণের তীব্রতায় ১০০ মিটার দুরে ছিটকে পড়েছে বাড়ির দরজা-জানালা।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, রাত দেড়টা নাগাদ বিস্ফোরণ হয়। বাইরে বেরিয়ে দেখি কালো ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে অঙ্গনওয়ারি। কার্নিশ ভেঙে পড়েছে। তিনি যোগ করেন, এক বছর ধরে বাড়িটা পরিত্যক্ত ছিল। গরু, ছাগল থাকত।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র লাগোয়া বাড়িতে ঘুমোচ্ছিলেন জয়নাল আবেদিন নামে এক কলেজ ছাত্র। বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে আসা চাঙড়ের আঘাতে আহত হন তিনি। ওই পড়ুয়া বলেন, আমি ঘুমোচ্ছিলাম। বিস্ফোরণের শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। চাঙড ওড়ে এসে বাঁ হাতে আঘাত লাগে।
খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে আসেন বীরভূমের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও লোকপুর থানার ওসি। ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে পুলিশ। নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি-র বম্ব স্কোয়াড। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান,
এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে প্রচুর পরিমাণে দেশি বোমা মজুত করা ছিল। কোনও কারণে সেই বোমাতেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।
ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে এলাকায়। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে বোমা মজুত করা হল? প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের। এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত এক বছর খয়রাশোল, কাঁকরতলা ও লোকপুরে প্রায় পাঁচটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। বছর দুয়েক আগে সাত্তোরের একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ৮৫০টি তাজা বোমা উদ্ধার হয়।
এবার বিস্ফোরণ লোকপুরের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে।