কলকাতা: সকাল থেকে ব্যাঙ্কের সামনে লাইন দিয়েও নিজের কষ্টার্জিত টাকাটুকুও তুলতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। দুর্ভোগ দ্বিগুণ করেছে এটিএমও। এই পরিস্থিতিতে দুর্ভোগ মেটাতে আসরে পুরসভা। বাতিল পাঁচশো-হাজারের নোটেই কর নিচ্ছে পুরসভা।
কর দিতে মানুষের যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সেজন্য পুরসভার এসেছিলেন খোদ মেয়রও! সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি।
শোভন চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সোমবারও পুরসভায় কর জমা দেওয়া যাবে। তিনি বলেন, পাঁচশো-হাজারের নোট নেওয়া হচ্ছে। রিবেটের ডেটও বাড়ানো হয়েছে। খুচরো নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে, সেটা বাকি বা পরের বিলের সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করা যায় কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ২৫ হাজারের বেশি হলে দু’দফায় নেওয়া হচ্ছে।
পুরসভার এই উদ্যোগ স্বাগত জানিয়েছে সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের এই হয়রানির জন্য মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন মেয়র।
শনিবার মানুষের দুর্ভোগ জানতে পথে নেমেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার মেয়রকেও দেখা গেল বিভিন্ন এটিএমে ঘুরতে। মন দিয়ে শুনলেন মানুষের দুর্ভোগের কথা।
এই চরম নোট দুর্ভোগের মধ্যেও কারও কারও মুখে কালো টাকার উদ্ধারের যুক্তিও শোনা গেল। যদিও মেয়রের সামনেই দীর্ঘক্ষণ ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা অধিকাংশ মানুষই সমস্বরে প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন।
শনিবারই মানুষের দুর্ভোগ দেখে জলের বন্দোবস্তের আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবার দেখা গেল শহরের বেশ কয়েকটি এটিএমের সামনে জলের ব্যবস্থা করেছে পুরসভা।
মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে হুগলির রিষড়া পুরসভাও। তারাও পুরনো নোটে কর জমা নিচ্ছে। কর দেওয়া যাবে সোমবারও। পুরনো নোটে কর জমা নিচ্ছে শিলিগুড়ি পুরসভাও।