কলকাতা: ইয়াস-পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখতে আজ রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় দল। ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলে থাকছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব। সঙ্গে থাকছেন অন্যান্য আধিকারিকরাও। 


আজ রাত ৮টা নাগাদ কলকাতায় পৌঁছবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল। আগামীকাল ইয়াস-বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়াম থেকে একটি দল কপ্টারে চড়ে রওনা দেবে পাথরপ্রতিমায়। গোসাবাতেও যাবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। 


আরেকটি দল আগামীকাল কলকাতা থেকে সড়কপথে দিঘা যাবে। মন্দারমণির অবস্থাও ঘুরে দেখবেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। ৩ দিনের সফরের শেষদিনে নবান্নে গিয়ে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করবে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল।


কার্যত-লকডাউন থেকে শুরু করে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস, টর্নেডো, ভরা কটাল ও ভারী বৃষ্টি -- পঞ্চবাণে বিধ্বস্ত দুই ২৪ পরগনার একাংশ-সহ আশপাশের বহু এলাকা। 


ভেসে গেছে বহু গ্রাম। বহু জায়গায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে সমুদ্র বাঁধ ও নদী বাঁধ।  মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে পথে বসেছেন বহু মানুষ। সমুদ্রের নোনা জল ঢুকে ক্ষতি হয়েছে জমির ফসলের।


এই পরিস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে রাজ্য সরকারের ‘দুয়ারে ত্রাণ’ কর্মসূচি। জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ক্যাম্প। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের দু’দিন পর নবান্নে এই প্রকল্পের ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী, ৩ জুন থেকে শুরু ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প। ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্তরা সরকারি সাহায্যের জন্য আবেদন করা যাবে।


১৯ থেকে ৩১ জুন পর্যন্ত খতিয়ে দেখা হবে জমা পড়া আবেদনগুলি। এরপর পয়লা জুলাই থেকে ৭ জুলাইয়ের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে সরাসরি ঢুকে যাবে সরকারি সাহায্যের টাকা। 


বৃহস্পতিবার তাজপুরে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন দুর্গত মানুষজনের সঙ্গে।


তিনি জানান, আজ থেকে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প চালু হয়েছে। কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সেগুলো গিয়ে নথিভুক্ত করবেন। বাড়ি, নৌকা, গবাদি পশু যা ক্ষতি হয়েছে নথিভুক্ত করবেন। কেউ দুর্নীতি করলে রেয়াত করা হবে না। 


বৃহস্পতিবার, জেলায় জেলায় শুরু হয় ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্পের ক্যাম্প।  ক্ষতিগ্রস্তদের কাছ থেকে আবেদনপত্র জমা নেওয়ার জন্য দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ৩৪টি ক্যাম্প শুরু হয়।


‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প শুরু হয়েছে, কুলতলিতে। অবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য, সকাল থেকেই লম্বা লাইন চোখে পড়ে গোপালগঞ্জ জুনিয়র গার্লস স্কুলে।


ইয়াসের আগের দিন টনের্ডোয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যান্ডেলের বিস্তীর্ণ এলাকা।  ঝড়ে ভেঙে যায় বাড়ি, দোকান। ক্ষতিগ্রস্তদের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দিতে হুগলি গার্লস স্কুলে আবেদন পত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু হয়। বৃহস্পতিবার, ক্যাম্প পরিদর্শন করেন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক।