কলকাতা: খোদ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলল তৃণমূল। রাজ্যপালের ৬ জন আত্মীয়কে ওএসডি পদে নিয়োগের অভিযোগ তুললেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নাম তুলে ধরে ট্যুইট করেন তৃণমূল সাংসদ। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালকে ‘আঙ্কলজি’ সম্বোধন করে খোঁচা মহুয়ার।
এদিন ট্যুইট করে তৃণমূল সাংসদ ৬ জনের নাম উল্লেখে করেছেন। এমনকী সংশ্লিষ্টরা সম্পর্কে সঙ্গে রাজ্যপালের কে হন তারও তালিকা তৈরি করেছেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদ বলেন, "অভুদয় সিংহ শেখাওয়াত রাজ্যপালের ব্রাদার ইন ল’-র ছেলে। অখিল চৌধুরীর নিকট আত্মীয়। রাজ্যপালের প্রাক্তন এডিসি গৌরাঙ্গ দিক্ষিতের স্ত্রী রুচি দুবে, প্রশান্ত দিক্ষিত গৌরাঙ্গ দিক্ষিতের ভাই। বর্তমানে যে এডিসি রয়েছেন তাঁর ব্রাদার ইন ল’ কৌস্তভ ভালিকার। কিষাণ ধনকড় রাজ্যপালের নিকট আত্মীয়।"
তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন, এখানে পুরো তাঁর গ্রাম নিয়ে রাজভবনে বসিয়ে রাখছেন আর সরকারি টাকায় তাঁদের পোষণ হচ্ছে? মহুয়া মৈত্র বলেন, তিনি সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত বসে সরকারকে এবং মুখ্যমন্ত্রীকে বলে যাবেন। তিনি নিজে আয়নায় দেখুন রাজ্যপালের অফিস আর নিজের চেয়ারকে তিনি কোন তলানিতে নামিয়ে এনেছেন। এটা পশ্চিমবঙ্গের জন্য লজ্জার ব্যাপার।
এদিকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ফের রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের। রাজ্যপালের ট্যুইটার লেখেন, ‘ভোট পরবর্তী হিংসা মানবতাকে লজ্জা দেবে। পুলিশ কিছুই করছে না। যা হচ্ছে সেটা পুরোটাই বিরোধীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য।’ ট্যুইটে একটি ভিডিও শেয়ার করেন রাজ্যপাল। জানা গেছে, রাজ্যপাল আগামীকাল মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন। ভোট-পরবর্তী হিংসা ও সামাজিক বয়কটের অভিযোগের প্রসঙ্গ নিয়েই মুখ্যসচিবকে রাজ্যপাল তলব করেছেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত নতুন কিছুই নয়। কিন্তু সদ্যসমাপ্ত ভোটের পর সেই সংঘাত আরও তুঙ্গে উঠেছে। ভোটের পরই বিজেপি তাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর তৃণমূলের হামলার অভিযোগ নিয়ে সরব হয়। রাজ্যপালও বিষয়টি নিয়ে মুখর হন। বেশ কয়েকবারই তিনি এই বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছেন। ভোটের পরই ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন করেন বলে জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এরপর একাধিক ট্যুইট করে ভোট-পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেন।