কলকাতা: শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। সতর্কতায় বুধবার সকাল ৮টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধে ৭টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান চলাচল বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।


গত বছর আমফানের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কলকাতা বিমানবন্দর। সেই আমফানের ভয়াবহতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবছর সতর্কতায় কোনওফাঁকই রাখতে চায় না কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাই আগে ভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, সোমবার জরুরি বৈঠক করে কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফকেও সতর্ক করা হয়েছে। বিমানবন্দরের কর্মী ও সিআইএসএফ জওয়ানদেরও সতর্ক থাকার কথা ঘোষণা করা হচ্ছে। কোনও বিমানের যাতে ক্ষতি না হয় সে বিষয়েও একাধিক পদক্ষেপ করেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। 



শক্তি বাড়িয়ে ধেয়ে আসছে ইয়াস। আগাম সতর্কতা হিসেবে প্রস্তুত কলকাতা পুরসভা। ওয়াটগঞ্জে ঝুপড়িবাসীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হল নিরাপদ জায়গায়। বিভিন্ন এলাকায় কাটা হল হেলে থাকা গাছের ডাল। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে টহল দিল সেনা। মঙ্গলের সকাল থেকেই আকাশের মুখ ভার। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। অস্থির গঙ্গা


আমফানের বর্ষপূর্তিতে ধেয়ে আসছে, আরও এক শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়, ইয়াস। কিন্তু, একবছর আগের সেই ভয়াবহ স্মৃতি যেন আর ফিরে না আসে, তার জন্য আগেভাগেই প্রস্তুত হচ্ছে কলকাতা। 
আমফানের ধাক্কায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন ওয়াটগঞ্জে টালিনালার পাশে ঝুপড়িবাসীরা। ঝড়ে ঘরবাড়ির ক্ষতি তো হয়েছিলই, নালার জল উপচে ঢুকে পড়েছিল ঘরে। তাই এবার আগেভাগেই সেই মানুষগুলিকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে গেছে পুলিশ ও পুরসভা। 


কলকাতাতে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আগে, জরাজীর্ণ বাড়িতে থাকা বাসিন্দাদের নিয়ে যাওয়া হল সাইক্লোন সেফ হোমে। শিশু থেকে বড় সবাই যাচ্ছে একে একে। কেউ মাথায় জিনিস নিয়ে যাচ্ছেন।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতায় এখনও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে বহু বিপজ্জনক ও জরাজীর্ণ বাড়ি। সেখানকার বাসিন্দারাও যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান, তার জন্যও পুরসভার তরফে চলছে প্রচার। 


গত বছর আমফানের জেরে অনেকটাই সবুজহীন হয়ে পড়েছিল কলকাতা। গাছ ভেঙে পড়ে কার্যত স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা শহর। বিদ্যুতের তারে গাছের ডাল পড়ায়, অন্ধকারে ডুবে ছিল বিভিন্ন এলাকা। এবার তাই আগেভাগেই শহরে হেলে পড়া গাছের ডাল কেটে ফেলছে পুরসভা। গতবছর আমফান পরবর্তী সময়ে কলকাতার জনজীবন স্বাভাবিক করতে, সেনার সাহায্য নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এবার কিন্তু আগেভাগেই তৎপর নবান্ন। 


মুখ্যমন্ত্রী  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছেন, সেনাকে ডেকেছি, যেখানে প্রয়োজন হবে, আর্মি নামানো হবে। এদিন বেহালা, বালিগঞ্জ-সহ শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখে সেনাবাহিনী। 
বিশেষ করে গতবছর যে এলাকাগুলি বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখে তারা।