কলকাতা : এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কিছুক্ষণ আগেই তিনি পৌঁছেছেন তাঁর বালিগঞ্জের বাড়িতে। সন্ধেয় এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে প্রথমে কলকাতা পুলিশের গাড়িতে তিনি যান প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানে প্রয়োজনীয় পেপারওয়ার্ক সারার পর বাড়ির পথ ধরেন তৃণমূল নেতা। গ্রেফতার হওয়ার ন'দিনের মাথায় বাড়ি ফিরলেন তিনি। আপাতত কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে থাকতে হবে গৃহবন্দি হয়েই।
আগের সপ্তাহের সোমবার সুব্রত মুখোপাধ্যায় সহ তিন নেতাকে তাদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পর অসুস্থ বোধ করায় এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছিলেন বালিগঞ্জের পুর্ননির্বাচিত বিধায়ক। ধীরে ধীরে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ওঠার পর এদিন তাঁকে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় হাসপাতাল। চিকিৎসরা তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়ার বিষয়ে সম্মতি দেওয়ার পরই তিনি বাড়ি ফেরেন। হাসপাতালে প্রথমে প্রয়োজনীয় পেপার ওয়ার্ক সারার পর পাশের কেবিনে থাকা মদন মিত্রর সঙ্গে দেখা করে হাসপাতাল ছাড়েন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। হাসপাতাল থেকে বেরোনোর পথে অবশ্য কোনও কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
কয়েকদিন আগেই সুস্থ আছেন জানিয়ে রিস্ক বন্ডে সই করে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে গোলপার্কের বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। তবে মদন মিত্র এখনও এসএসকেএমেই চিকিৎসাধীন। ৪ নেতার মধ্যে তিনজনই অসুস্থ হওয়ায় এসএসকেএমে ভর্তি হয়েছিলেন। ফিরহাদ হাকিম প্রেসিডেন্সি জেল থেকেই হাইকোর্টের নির্দেশের পর সরাসরি বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন।
এদিনই সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেয়েছে সিবিআই। প্রত্যাহার করা হয়েছে নারদ মামলা। নিয়মমাফিক হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চেই ফিরেছে নারদ শুনানি। নারদ মামলার জন্য গঠিত সেই পাঁচ সদস্যের বেঞ্চের রায়ই চূড়ান্ত হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয় নারদ-মামলার শুনানি। বেঞ্চের একের পর এক প্রশ্নে জড়িয়ে যায় সিবিআই। বিচারপতির প্রশ্নবানে শেষ পর্যন্ত পিছু হটে সিবিআই। সওয়াল জবাবের পর এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, 'এই শুনানির উপর ভিত্তি করে আমরা কিছু রায় দিতে চাই না। কোনও মতামতও প্রকাশ করিনি।'