কলকাতা : চোখ রাঙিয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস। ঠিক এই অবস্থায় ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের জন্য বিশেষ সতর্কবার্তা দিলেন এনডিআরএফ প্রধান এসএন প্রধান। তাঁর পরামর্শ, সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে এমন ভাবনা নিয়েই প্রস্তুতি নিন। ঘূর্ণিঝড়ের ঝাপটার আঁচ থেকে রাজ্যবাসীকে রেহাই দিতে প্রয়োজনের দ্বিগুণ প্রস্তুত থাকারই পরামর্শ তাঁর।
ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে এনডিআরএফের ১২টি দলকে মোতায়েন করা হয়েছে বলেও জানান এসএন প্রধান। প্রত্যেকটি দলে ৪৭ জন করে সদস্য রয়েছেন। গাছ-ইলেকট্রিক পোল কাটার যন্ত্র, যোগাযোগের গ্যাজেট ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রত্যেকটি দলের কাছেই রয়েছে বলেও জানান তিনি।
ন্যাশনাল ডিসাস্টার রেশপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) ডিরেক্টর জেনারেল এসএন প্রধান সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, 'দীর্ঘদিন ধরে বিপর্যয় মোকাবিলার অভিজ্ঞতা থেকে যে শিক্ষা আমরা পেয়েছি তা হল, যতটা ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে তার থেকে দ্বিগুণ পরিমাণ সতর্কতা নেওয়া দরকার। কারণ এটা প্রকৃতির খেলা, মুহূর্তের মধ্যে যে কোনও সময় তা আয়ত্ত্বের বাইরে চলে যেতে পারে। ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি গতিবেগে হাওয়া বওয়ার পূর্বাভাস, তাই অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি করা দরকার আমাদের।'
তাঁর সংযোজন, 'যে সমস্ত এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার আশঙ্কা সেখানকার জেলাশাসকদের উদ্দেশে আমার বার্তা থাকবে যে জায়গাগুলো সামান্যতম প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, সেখানকার লোকজনকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। সময়মতো মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারলেই অনেক প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হয়। আর বর্তমান সময়ের সঙ্গে ভারতে বাড়তি প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা এসে পড়েছে।'
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সামলানোর প্রস্তুতিতে এদিনই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী থেকে সমস্ত দফতরকে তিনি নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যগুলির সঙ্গে সম্বন্নয় রেখেই কাজ করতে।
ইন্ডিয়ান মেট্রোলজিকাল ডিপার্টমেন্টের পূর্বাভাস ২৬ মে যখন ওডিশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী এলাকা দিয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস তখন ঝোড়ো হাওয়ার গতি ঠেকতে পারে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।