কলকাতা: কয়েকজন অভিনেত্রী থেকে একঝাঁক অনুগামী, এসএসকেএমে মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা করতে এলেন অনেকেই। কিন্তু অপেক্ষা করলেও কেউই দেখা পেলেন না কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের। যদিও 'দাদা'র সঙ্গে দেখা না হলেও মুখ ভার হল না কারোরই, বরং দ্রুত মদন মিত্রের সুস্থতার কামনা করলেন সকলে।
রবিবার মদন মিত্রের ছবি লাগানো গেঞ্জি পরে এসএসকেএমে হাজির হন ভবানীপুর ইউনাইটেড ইয়ুথ ফোরামের সদস্যরা। গেঞ্জিতে লেখা ছিল খেলা হবে। হরিশ মুখার্জি রোডের মোড়ে ব্যানারও লাগালেন মদন মিত্রর অনুগামীরা। মদন মিত্রের সঙ্গে দেখা না হলেও অবশ্য তাঁর অনুগামীদের মুখে দ্রুত দাদার সুস্থতার কথা।
এদিকে, এসএসকেএমে আজ মদন মিত্রর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বাংলা টেলিভিশনের বেশ কয়েকজন অভিনেত্রী। হাসপাতাল থেকে প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর বেরিয়ে এসে তাঁরা জানান মদন মিত্রের সঙ্গে তাঁদের দেখা হয়নি।
এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। নারদকাণ্ডে কয়েকদিন আগে তাঁকে গ্রেফতার করে সিবিআই। অসুস্থতার কারণে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পরে হাইকোর্ট গৃহবন্দির নির্দেশ দিলেও এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
গত সোমবার মদন মিত্রের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সন্ধেয় ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তাদের জামিন হলেও সেদিন রাতে তাদের সেই জামিনে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। রাতেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। জেলের পথ ধরার সময় মদন মিত্র বলেছিলেন, 'আমরা খারাপ আর মুকুল-শুভেন্দু ভালো।'
করোনা পরিস্থিতি না মেনে বাড়িতে সিবিআইয়ের চড়াও হওয়ারও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পরই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছিল মদন মিত্রের। যার পরই তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় এসএসকেএমে।
এদিকে আগামীকাল হাইকোর্টের গড়ে দেওয়া বিশেষ বেঞ্চে হবে নারদ মামলার পরবর্তী শুনানি। পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চে উঠবে মদন মিত্র সহ চার নেতা ও সিবিআইয়ের যাবতীয় আবেদন। আগামীকাল সকাল ১১ টা থেকে শুরু হবে যে মামলার শুনানি-পর্ব।