পূর্ব মেদিনীপুর:  আজ পূর্ব মেদিনীপুরের ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ দুপুর ১টা নাগাদ তিনি পরিদর্শনে রওনা দেবেন। ফিরে বিকেলে তিনি নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন। পরে সাংবাদিক সম্মেলনও করার কথা তাঁর। 


গতকাল আকাশপথে দুই ২৪ পরগনার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তিনি দিঘায় পৌঁছন। প্রশাসনিক বৈঠকের পর ঘুরে দেখেন দিঘার সমুদ্র সৈকত। 


গতকাল সকালে হাওড়ার ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব।


ইয়াস বিধ্বস্ত উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জ-সন্দেশখালি-হাসনাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগর-নামখানা-কাকদ্বীপ-ফ্রেজারগঞ্জের পরিস্থিতি হেলিকপ্টার থেকে পরিদর্শন করেন তিনি।


আকাশপথে ক্ষয়-ক্ষতি পরিদর্শনের পর হিঙ্গলগঞ্জে জেলাশাসক ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে রিভিউ বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।  


হিঙ্গলগঞ্জে প্রশাসনিক বৈঠক সেরে দুপুরের দিকে সাগরে যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জেলাশাসক-পুলিশ সুপার-সহ পুলিশ এবং প্রশাসনের কর্তা ও জেলার মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


সাগরে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, বাধ মেরামতি ও ত্রাণে যেন কোনও দুর্নীতি যেন না হয়। বলেন, কোনও রিলিফ ক্যাম্পে খাবার, কেউ ত্রিপল চাইল কিপ্টেমি করবে না। বেবিফুডের দিকে নজর রাখতে হবে। গরীবরা যেন ঠিকঠাক সাহায্য পান। ন্যায্য মানুষ, যেন ন্যায্য জিনিস পান, সেটা দেখতে হবে। গতবার অনেক অভিযোগ ছিল, সেটা যেন না হয়। বাধ মেরামতি ও ত্রাণে যেন কোনও দুর্নীতি যেন না হয়। কাঁচা মাটি দিয়ে বাঁদ করা যাবে না। দুর্নীতি হয়, টাকা খায়।


সাগর থেকে কলাইকুণ্ডা যান মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে দিঘায় গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘা উন্নয়ন পর্ষদের মাথায় মুখসচিব বসবে। কাল এরিয়াল সার্ভে করব। দিঘা, নন্দীগ্রাম, খেজুরি দিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব, ওদিকে বেশি হয়েছে।


এরপর কলাইকুণ্ডায় পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর হাতে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট দিয়ে বলেন, এই হচ্ছে আমাদের রিপোর্ট। আপনি দেখে নেবেন। ১ মিনিটের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মিটিং রুম থেকে বেরিয়ে আসেন।