সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভাস্কর ঘোষ, ডানকুনি ও হাওড়া: শ্রমিক বিক্ষোভের জের। ডানকুনির চিপস কারখানায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝোলাল কারখানা কর্তৃপক্ষ।অন্যদিকে, বিধায়কের উদ্যোগে প্রায় তিনমাস পর খুলল হাওড়ার ঘুসুড়ির হনুমান জুটমিল।
কারখানার গেটে শ্রমিক বিক্ষোভ।কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ ডানকুনির চিপস কারখানার শ্রমিকদের।তার জেরে কারখানার গেটে সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলিয়ে দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। এর জেরে কর্মহীন হলেন প্রায় দেড়শো স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মী।
বিক্ষোভকারীদের দাবি, ১৪ মাস ধরে তাঁদের পিএফ এর টাকা জমা দেয়নি কারখানা কর্তৃপক্ষ। এমনকী নতুন করে তাঁদের সঙ্গে চুক্তিপত্রও করা হয়নি। এর প্রতিবাদে সোমবার কারনারা গেটে বিক্ষোভ দেখান শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের দাবি, গত শুক্রবার নোটিশ দিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায় শনিবার কারখানা বন্ধ থাকবে।শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করবে না বলায় গেটে তালা লাগিয়ে শ্রমিকদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। আজ কাজে যোগ দিতে এসে শ্রমিকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে।তাদের দাবী নতুন এগ্রিমেন্ট আর পি এফ এর টাকা জমা দিতে হবে।বিক্ষোভ সামাল দিতে হাজির হয় পুলিশ।
চিপস কারখানার কর্তৃপক্ষের দাবি, শ্রমিক অসন্তোষের জেরে বেশ কয়েকদিন ধরে উৎপাদন ব্যহত হচ্ছিল। সোমবার বিক্ষোভের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়েই কারখানা বন্ধ করতে হয়েছে।
অন্য ছবি, পাশের জেলা হাওড়ায়। প্রায় তিনমাস পর বিধায়কের উদ্যোগে খুলল ঘুসুড়ির হনুমান জুটমিল।বিধানসভা ভোটের পর এই জুটমিল বন্ধ হয়ে যায়। কাজ হারিয়ে সমস্যায় পড়েন শ্রমিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জুটমিল খুলতে উদ্যোগী হন হাওড়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। সকালে মিলের গেট খোলার সময় সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। করোনা আবহে মিল খোলায়, খুশি প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক।
উল্লেখ্য, কয়েকমাল আগে বন্ধ হওয়ার আঠাশ দিনের মাথায় বালির বিধায়কের তৎপরতায় খুলে গিয়েছিল মহাদেব জুটমিল। শ্রমিকরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন। এর শ্রমিক বলেছিলেন, মিল প্রায় একমাস বন্ধ ছিল। সবাই অসুবিধায় ছিল। আমরা খুশি। সবাই খুশি। সবাই কাজ পাচ্ছে।
এর আগে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, কাঁচামালের অভাবের যুক্তি দেখিয়ে অনির্দিষ্টকাল কারখানা বন্ধ রাখা যাবে না। এরপরই বন্ধ জুটমিল খোলার লক্ষ্যে তৎপরতার সঙ্গে আসরে নামেন হাওড়ার বিধায়করা। গত ১৯ মে বন্ধ হয়ে যায় বালির মহাদেব জুটমিল। ৯ জুন মিল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন বালির বিধায়ক রানা চট্টোপাধ্যায়। তার এক সপ্তাহের মাথায় খুলে যায় কারখানার দরজা।