কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও রঞ্জিত্‍ সাউ, কলকাতা: নিয়োগের দাবিতে অবস্থানে বসতে গিয়ে গ্রেফতার ৫০ জন চাকরিপ্রার্থী।  আজ সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে এসএসসি-র চাকরিপ্রার্থীরা অবস্থানে সামিল হতে যান।  তড়িঘড়ি পুলিশ তাঁদের আটক করে প্রথমে থানায় নিয়ে যায়।  পরে গ্রেফতার করা হয় ৫০ জনকে।  উচ্চমাধ্যমিকের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকরাও  বিকাশ ভবনে ঢুকতে গিয়ে বাধা পান।  পরে তাঁরা স্মারকলিপি দিয়ে চলে আসেন।


সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে হুলুস্থুল।  পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি বাধল আন্দোলনকারীদের।৫০ জন চাকরিপ্রার্থীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নিয়োগের দাবিতে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে এর আগে ১৮৭ দিন ধরে অনশনে বসেছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, সেই অনশন মঞ্চ থেকে তাঁদের তুলে দেয় পুলিশ। সোমবার ফের সেই পুরনো জায়গায় অবস্থানে বসতে যান বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী।  আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন ছিল পুলিশ। তড়িঘড়ি তারা চাকরিপ্রার্থীদের তুলে দেয়। 


চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, ২০১৬-য় স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় তাঁরা উত্তীর্ণ হয়েছেন। মেধা তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে।  কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি। স্কুল সার্ভিস কমিশন সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগেই আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়। তাঁদের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


এদিন পুলিশ ৫০ জন চাকরিপ্রার্থীকে গ্রেফতার করে।  পুলিশ সূত্রে দাবি, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়া, বিনা অনুমতিতে জমায়েত করা ও করোনা বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে।  


এরইমধ্যে সোমবার রাজ্যের উচ্চমাধ্যমিক চুক্তিভিত্তিক শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধিদল স্থায়ী বেতনকাঠামোর দাবিতে বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু, তাঁদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে তাঁরা শিক্ষামন্ত্রীর সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেন।  


উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই কলকাতার  নিউমার্কেট থানা এলাকায় দমকলের সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের দাবি, পরীক্ষায় পাস করা সত্ত্বেও নিয়োগ করা হচ্ছে না। পরে দমকলের ডিজির আশ্বাসে বিক্ষোভ মেটে। এর আগে পুলিশের কনস্টেবল পদে চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে ভবানী ভবনের সামনে ধুন্ধুমার হয়।