মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং : করোনার দ্বিতীয় ঢেউ স্তিমিত হতেই পর্যটকের আনাগোনা বাড়তে শুরু করেছিল পাহাড়ে। বিধিনিষেধের রাশ আলগা হতেই ভিড় জমছিল ক্যুইন অব হিলসে। কিন্তু রাজ্যের সার্বিক চিত্র সাময়িক স্বস্তি দিলেও পাহাড়ে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। আচমকা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার পিছনে পর্যটকদের ভিড়কেও একটা কারণ হিসেবে দেখছে দার্জিলিং জেলা প্রশাসন। সেইমতো গত ১৪ জুলাই থেকে কড়া বিধিনিষেধ লাগু হয়েছে জেলায়। 

পর্যটকদের জন্য করোনা ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ অথবা করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আগেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বেঁধে দেওয়া হয়েছে শর্ত। RTPCR টেস্টের রিপোর্ট ৩ দিনের বেশি পুরনো হওয়া চলবে না। শৈলশহরে ঘুরতে আসা পর্যটক চাঁদি দত্ত জানালেন, প্রতি ক্ষেত্রেই চেক করা হচ্ছে পর্যটকদের ডবল ডোজ ভ্যাকসিন নেওয়া আছে কি না, আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্টও দেকা হচ্ছে ভাল করে। না থাকলে পর্যটকদের ফেরতও পাঠানো হচ্ছে। সুকনা, নিউ জলপাইগুড়ি, শিমূলবাড়ির মতো যে সব জায়গা পাহাড়ে ওঠার পথে প্রথম ধাপ হিসেবে পরিচিত, সেই জায়গাগুলিতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই কড়াকড়ির জেরে গত দশদিনে পর্যটকের সংখ্যা কমেছে দার্জিলিংয়ে। পর্যটক অরিজিৎ মণ্ডল জানালেন, দার্জিলিংয়ে ঢোকার সময় আমি দেখেছি ভ্যাকসিন না নেওয়ায় ফিরিয়ে দিতেও দেখা যাচ্ছে। 


 


পর্যটন নির্ভর পাহাড়ে পর্যটক কমতে থাকায় স্থানীয়দের অনেকেই বিষণ্ণ।  বিশেষত পর্যটকদের জিনিসপত্র বিক্রি করেই যাদের পেট চলে। চিন্তার ভাঁজ গাড়ি চালকদের কপালেও।



উত্তরবঙ্গের ৯টি জেলার মধ্যে মোট আক্রান্তের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দার্জিলিং। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে এই জেলায়। 


অন্যদিকে, অন্যতম ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন দিঘায় পর্যটকদের জন্য সুখবর। বিশেষ ছাড় (স্পেশাল ডিসকাউন্ট) দেওয়া হচ্ছে দিঘার হোটেলে। করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে কমতে থাকায় অনেকটা শিথিল হয়েছে বিভিন্ন বিধি-নিষেধ। এই পরিস্থিতিতে দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণি, তাজপুর প্রভৃতি পর্যটনকেন্দ্রে অধিকাংশ হোটেলের ঘর এখন খালি পড়ে রয়েছে। তাই পর্যটকদের টানতে দিঘা শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অনলাইনে হোটেল বুকিং কিংবা দিঘায় এসে হোটেলের রুম স্পট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে এই বিশেষ ছাড় পাওয়া যাবে।