কলকাতা ও কার্শিয়ং: মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে আর্জি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, আমরা অনুরোধ করেছি, বনধ প্রত্যাহারের জন্য। এর এক দিন পরেই পাহাড় থেকে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার।
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কলকাতায় বৈঠক করে বৃহস্পতিবার দুপুরে কার্শিয়ং পৌঁছন মোর্চার চিফ কো-অর্ডিনেটর বিনয় তামাং। সেখানে প্রথমে তিনি একটি সভা করেন। মোর্চা সমর্থকদের বোঝান, কী পরিপ্রেক্ষিতে নবান্নে বৈঠকে গিয়েছিলেন, কেন সেই বৈঠক জরুরি ছিল। এরপরই মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটি বৈঠকে বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বনধ প্রত্যাহারের।
১২ তারিখই উত্তরকন্যায় পাহাড়ের সব দলকে নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে আলোচনার পরই ঠিক হবে পরবর্তী কর্মসূচি।
পাহাড়ে বনধ তুলে নেওয়ার এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, পাহাড়ে বনধ উঠেছে এটা ভাল খবর। আমরা সকলেই চাই পাহাড়ে শান্তি ফিরুক। পাহাড়ের মানুষ ভাল থাকুক।
পর্যবেক্ষকদের একাংশের মত, পুজোর মুখে বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত পাহাড়বাসীর কাছে স্বস্তির খবর। যদিও এ নিয়েই বিনয় তামাং-বিমল গুরুংদের মধ্যে বেধে গিয়েছে সংঘাত। বিনং তামাংদের সিদ্ধান্ত মানছেন না বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার ঘনিষ্ঠদের নিয়ে বৈঠকেও বসেন বিমল গুরুং। কিন্তু, প্রশ্ন উঠছে, তার এই বনধের পক্ষের অবস্থান নিয়েই। কারণ লাগাতার বনধে অতিষ্ঠ পাহাড়বাসী। বিভিন্ন জায়গায় খুলছে দোকানপাট। এই পরিস্থিতিতে, গুরুংয়ের পাশে কি পাহাড়বাসী দাঁড়াবে? উঠছে প্রশ্ন।