মনোজ্ঞা লইয়াল ও মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: প্রবল বৃষ্টিতে দার্জিলিঙে ধস। শুক্রবার সকালে ধস নেমে অন্তত ২৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তার মধ্যে ১৫টি বাড়ির বেশ ভালমতোই ক্ষতি হয়েছে। লামি অঞ্চলে দু’টি বাড়ি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। ওই দু’টি বাড়ির লোকজন কোনওমতে প্রাণে রক্ষা পান।


বুধবার থেকেই দার্জিলিঙে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। তার ফলেই ধস নেমেছে। জিএনএলএফ-এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। স্থানীয় প্রশাসনকেও খবর দেওয়া হয়। প্রশাসনিক আধিকারিকদের সাহায্য করার আবেদন জানানো হয়েছে।


দার্জিলিঙে বর্ষাকালে প্রায়ই ধস নামে। এ বছরের মে মাস থেকে এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ধস নেমেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কারও প্রাণহানির খবর নেই। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।


বৃহস্পতিবারই প্রবল বৃষ্টির জেরে দার্জিলিংয়ের বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ধস নামে। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪০টিরও বেশি বাড়ি। ৩৬ জনকে সরানো হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাহাড়ের একাধিক রাস্তা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন।


তার আগে গত ২৫ জুন ধস নামে দার্জিলিংয়ের জাতীয় সড়কে। কার্শিয়াংয়ের তিনধরিয়ায় ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামে। জাতীয় সড়কে ধস নামার জেকে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পৌঁছনোর মূল রাস্তা। ফলে রোহিণী দিয়ে ঘুরপথে শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার রাস্তা ব্যবহার করতে হচ্ছিল। 


তার আগে গত ১৮ জুন সেবক রংপো রেল টানেলের কাজ চলার সময় বালুখোলাতে দুর্ঘটনা ঘটে। বৃষ্টির জেরে ধস নেমেই বিপত্তি হয়। এই দুর্ঘটনায় ২ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আহত হন ৫ শ্রমিক। যার মধ্যে ২ জনের চোট গুরুতর। সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার সময় কাজ করছিলেন মোট ৭ জন শ্রমিক। যে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা।