সুমন ঘড়াই, কলকাতা: কয়েকদিন আগেই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জন্য হাড়িভাঙা আম পাঠান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী।


চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধেয় হাসিনাদি, আপনার পাঠানো আম পেয়ে আমার খুব ভাল লেগেছে। বাংলাদেশের রংপুর জেলার হাড়িভাঙা আমের নাম আমি শুনেছিলাম, আগে কখনও খাইনি। আপনি এত আম পাঠিয়েছেন যে, আমি দু’হাত ভরে বিলিয়েছি।’


মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে আরও লিখেছেন, ‘ওই আমের মধ্যে আপনার স্নেহ এবং বাংলাদেশের যে সৌরভ মিশে আছে তাকে আমি সম্মান জানাই। আমি সত্যিই আপ্লুত। শ্রদ্ধা নেবেন।’


ভারত-বাংলাদেশের সৌজন্য বিনিময় নতুন নয়। প্রতি বছরই একাধিকবার এই ধরনের সৌজন্য বিনিময় দেখা যায়। ৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য উপহার হিসেবে ২,৬০০ কেজি  হাড়িভাঙ্গা আম পাঠান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বনগাঁ পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে দুপুরে দু’দেশের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে আম বিনিময় হয়। ভারতের সরকারি আধিকারিকদের হাতে উপহার তুলে দেন বাংলাদেশের আধিকারিকরা। দু’দেশের আধিকারিকদের মতে, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই এই আম পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশের তরফ থেকে। এই সৌজন্য বিনিময়ের মাধ্যমে আগামী দিনে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।


এরপর ৫ জুলাই সৌজন্যের বার্তা হিসেবে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর জন্য ৩০০ কেজি আম উপহার পাঠান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। আগরতলা স্থল বন্দরের মাধ্যমে হাসিনার উপহার হিসেবে বাংলাদেশের অ্যাসিস্ট্যান্ট হাই কমিশনার জোবায়েদ হোসেনের কাছে ১০ প্যাকেট হাড়িভাঙা আম পাঠানো হয়। তারপর সেই আম পৌঁছে দেওয়া হয় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। হাসিনার এই উপহার পেয়ে খুশি বিপ্লব। তিনি ট্যুইট করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট, ‘বাংলাদেশের মাননীয়া পিএম শেখ হাসিনাজির উপহার পেয়ে আমি আপ্লুত। বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার জোবায়েদ হুসেন আজ হাসিনাজি প্রেরিত আম তুলে দেন। আমি বাংলাদেশের মাননীয়া পিএমকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। মাননীয় পিএম নরেন্দ্র মোদীজির নেতৃত্বে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী অটুট থাকুক, এই কামনাই করি।’