কলকাতা: রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার জন্য উপহার হিসেবে হাড়িভাঙা আম পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের মুখ্যমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাল্টা তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।


বাংলাদেশে বিখ্যাত হলেও, এপার বাংলায় হাড়িভাঙা আমের সেরকম জনপ্রিয়তা নেই। কী বিশেষত্ব এই আমের, সেটাও পশ্চিমবঙ্গবাসী খুব একটা জানেন না। দেখে নেওয়া যাক, কেন এত বিখ্যাত এই হাড়িভাঙা আম।


বাংলাদেশে মূলত রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার খোড়াগাছ ইউনিয়নে পাওয়া যায় এই আম। রংপুর জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নফল উদ্দিন পাইকার নামে এক ব্যক্তি প্রথম এই আম গাছ লাগান। গাছের নিচে মাটির হাঁড়ি দিয়ে ফিল্টার বানিয়ে জল দেওয়া হত। এক রাতে কেউ ওই মাটির হাঁড়ি ভেঙে ফেলে। সেই থেকে নাম হয় ‘হাড়িভাঙা আম’।


এই আমের বিশেষত্ব হল, এর উপরের অংশ বেশি মোটা ও চওড়া এবং নিচের অংশ সরু। এই আম দেখতে যেমন সুন্দর, তেমনই খেতেও সুস্বাদু। এই আমের ওজন গড়ে ২০০ থেকে ৩৫০ গ্রাম হয়ে থাকে। এই আম দীর্ঘদিন ভাল থাকে। সহজে পচে না এই আম। ছোট অবস্থা থেকে পাকা পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে একেকরকম স্বাদ পাওয়া যায় হাড়িভাঙা আমের। জুলাইয়ে এই আম পাকে। তবে বেশি না পাকানোই ভাল।


হাড়িভাঙা আমের মতোই গাছও অত্যন্ত আকর্ষণীয়। অল্পদিনের মধ্যেই বেশ বড় হয়ে যায় এই গাছ। চারা লাগানোর পরের মরসুমেই ফলন হয়। খুব বেশি লম্বা হয় না এই গাছ, বরং ডালপালা চারপাশে ছড়িয়ে যায়। ফলে ঝড়ে ভেঙে পড়ার আশঙ্কা কম থাকে। 


পদ্মার ইলিশ এপার বাংলায় অত্যন্ত জনপ্রিয়। প্রতি বছর বর্ষায় কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির বাসিন্দারা বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসার অপেক্ষায় থাকেন। এবার যদি হাড়িভাঙা আমও রফতানি শুরু করে বাংলাদেশ, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের রসনাতৃপ্তি হবে।