অরিত্রিক ভট্টাচার্য, সত্যজিৎ বৈদ্য ও ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা : বিধানসভা ভোটের আগে এই ‘খেলা হবে’ স্লোগানকে হাতিয়ার করেই প্রচারে ঝড় তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় আসার পর রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১৬ অগাস্ট ‘খেলা হবে’ দিবস পালনের ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। ত্রিপুরাতেও আজ খেলা হবে দিবস পালন করছে তৃণমূল।বাংলা জয়ের হ্যাটট্রিকের পর এবার তৃণমূলের লক্ষ্য ২০২৩-এর বিধানসভা ভোটে ত্রিপুরার ক্ষমতা দখল। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে তত্‍পরতা। তারই অঙ্গ হিসেবে সে রাজ্যে খেলা হবে দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছে ঘাসফুল শিবির।  আগরতলার উত্তর বনমালীপুর থেকে ফুটবল খেলতে খেলতে খেলা হবে স্লোগান দিয়ে শুরু হয়েছে মিছিল। রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্পিতা ঘোষ, আবীররঞ্জন বিশ্বাস-সহ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা।

অবশেষে সোমবার রাজ্য সরকারের উদ্যোগে পালিত হতে চলেছে ‘খেলা হবে’ দিবস।এ রাজ্যের পাশাপাশি এই কর্মসূচিকে বাংলার বাইরে ছড়িয়ে দিতেও মরিয়া তৃণমূল নেতৃত্ব। সোমবার উত্তরপ্রদেশ, ত্রিপুরা-সহ একাধিক রাজ্যে এই দিনটি পালন করছে তৃণমূল। তবে নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাতে ইতিমধ্যেই এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে গুজরাতের গোধরায় ‘খেলা হবে’ দিবস উপলক্ষ্যে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করেছিল ঘাসফুল শিবির। কিন্তু মাঠে, বল গড়ানোর ২৪ ঘণ্টা আগে গোধরার সংশ্লিষ্ট স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয়, কোভিড পরিস্থিতির কারণে সেই অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। 

এই বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় বলেন, ' বিজেপির চাপে স্কুল কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়েছে অনুমতি তুলে নিয়েছে, এরপরও ওরা মত প্রকাশের স্বাধীনতার কথা বলবে, গণতন্ত্রের কথা বলবে'
বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হার দাবি, 'খেলার নামে অশান্তি পাকাতে চাইছে তৃণমূল, ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরির চেষ্টা করছে, কোনও স্কুল এটা পারমিশন দিতে পারে না'


‘খেলা হবে’ দিবসের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বামেরাও। সুজন চক্রবর্তী বলেন, ' তৃণমূল রাজনীতিকে সরকারি কাজে ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে'। রবিবার ‘খেলা হবে’ দিবসের আগে কালিন্দিতে বল পায়ে নামেন মন্ত্রী তথা বিধাননগরের তৃণমূল বিধায়ক সুজিত বসু।