নয়াদিল্লি: পাহাড় নিয়ে রাজ্য সরকারের রিপোর্ট জমা পড়ল কেন্দ্রে। আর তাতেই মোর্চার দাবির সঙ্গে সরকারের মতপার্থক্য স্পষ্ট। মোর্চার দাবি শনিবার তাদের ৩জনের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে পাহাড়ে সংঘর্ষে একজন নিরীহ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। মোর্চার দাবি পুলিশের গুলিতে তাদের সমর্থকের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু, রাজ্য সরকারের রিপোর্টে কোথাও বলা হয়নি কীভাবে মৃত্যু হয়েছে।
রাজ্য সরকার যখন কেন্দ্রকে রিপোর্ট দিয়ে এই দাবি করছে, তখন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ আলুওয়ালিয়ার দাবি, সেদিন মৃত্যু হয়েছিল তিনজনের। গত শনিবার সংঘর্ষের পর মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকারের রিপোর্টেও বলা হয়েছে, ১৭ তারিখ পুলিশ-জনতা সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৫ জন পুলিশ কর্মী আহত হন। ১৭ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়, যার মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ।
পাহাড়ের অশান্তির নেপথ্যে জঙ্গি যোগ রয়েছে বলেও আগে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছিলেন, উত্তর-পূর্বের জঙ্গি সংগঠনের যোগ রয়েছে। এরা রাজনৈতিক দল নয়। বিদেশি যোগ রয়েছে। পুলিশের কাছে তথ্য আছে। একদিনে এসব হয় না। একদিনে এত বোমা হয় না। বহুদিনের ষড়যন্ত্রের ফল। অনেক দিন ধরে অস্ত্র মজুত হচ্ছিল। ষড়যন্ত্রের শেষ হওয়া উচিত।
পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে বিজেপি। আলুওয়ালিয়া বলেন, এত দিন কি নাক ডেকে ঘুমোচ্ছিলেন? এই প্রেক্ষাপটে পাহাড়ে বনধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় মোর্চা। পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, বনধের রাজনীতি বা হিংসার পথ না ছাড়লে কোনও আলোচনা নয়। এই পরিস্থিতিতে, পাহাড়ের মুখে আবার কবে হাসি পোটে সে দিকেই এখন সবার নজর।