কলকাতা ও শিলিগুড়ি: পাহাড়ের দলগুলি আগেই বয়কট করেছে। এবার পাহাড় নিয়ে রাজ্য সরকারের ডাকা সর্বদল বৈঠকে অংশ নেবে না বলে একে একে জানিয়ে দিল সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি-ও।
বৃহস্পতিবার শিলিগুড়ির উত্তরকন্যায় সর্বদল বৈঠক হওয়ার কথা। মুখ্যমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসে থাকায় বৈঠক ডেকেছেন স্বরাষ্ট্রসচিব। এখানেই আপত্তি বিরোধীদের। দার্জিলিঙের সিপিএম জেলা সম্পাদক জীবেশ সরকার বলেন, মমতা ছোট বড় সব ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেন। তিনি কেন থাকছেন না? মিটিং মূল্যহীন। অংশ নেব না।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, আমরা সর্বদলীয় বৈঠকে যাব না। মুখ্যমন্ত্রী সিরিয়াস হলে নিজে ডাকতেন। ফিরে ডাকতে পারতেন। তৃণমূল অবশ্য এতে দমতে নারাজ। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, কেউ না এলে একলা চলো রে।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সহ পাহাড়ের দলগুলি মঙ্গলবারের সর্বদল বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, রাজ্য সরকারের ডাকা সর্বদল বৈঠক তারা বয়কট করবে। মোর্চার শরিক বিজেপি-ও এদিন বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, পাহাড়ের সমস্যাটা রাজ্যস্তরের, জেলাস্তরের বৈঠক করে কী হবে? এই সমস্যা রাজনৈতিক, একজন অমলাকে দিয়ে বৈঠক করিয়ে কী হবে? যিনি সমস্যা তৈরি করলেন তিনি কোথায়? সেই সঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, এই ইস্যুতে প্রথমে বৈঠক করতে হবে কেন্দ্র-রাজ্য-মোর্চার মধ্যে।
পাহাড় ইস্যুতে গোড়া থেকেই রাজ্য সরকারের বিরোধিতায় সোচ্চার বিজেপি। মঙ্গলবারও পাহাড়ে গুলি চালানোর প্রসঙ্গ টেনে তীব্র আক্রমণ শানান, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ সুরেন্দ্র সিংহ আলুওয়ালিয়া। বলেন, গতকাল প্রেস কনফারেন্স থেকে। পাহাড়ে গুলি চালিয়েছে বিনা প্ররোচনায়। রাজ্য সরকারের উচিত ক্ষতিপূরণ দেওয়া।
পাল্টা সুর চড়িয়েছে তৃণমূলও। দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, পাহাড়ে আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করছেন। সাসপেন্ড করা উচিত। যে কথা বলছেন, তা সংবিধান বিরোধী। প্ররোচনামূলক। পদত্যাগ করা উচিত। আমরা পাহাড়ের ভাইবোনেদের পাশে আছি। সব মিলিয়ে পাহাড়ে অশান্তির আঁচ কমার কোনও লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না।