সমীরণ পাল, হিঙ্গলগঞ্জ (উত্তর ২৪ পরগণা) : পথ হারিয়ে ভুল করে রাজ্যের গণ্ডি টপকে বিহার থেকে বঙ্গে এসে পড়েছিল সে। হাতে ২১ হাজার টাকা থাকলেও মূক ও বধির হওয়ায় বাড়ির খোঁজ দিতে পারছিল না সে। কিন্তু হ্যাম রেডিয়োর প্রতিনিধিদের মধ্যস্থতায় শেষমেশ পাটনার পাথরহাটায় নিজের বাড়িতে ফিরল ১০ বছরের নীরজ কুমার। দিকভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়ানো এক বালককে দেখতে পেয়ে প্রথমে হিঙ্গলগঞ্জের দুলদুলি গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে কৌতুহল তৈরি হয়। তার কাছে ৫০০ টাকা নোটে মোট ২১ হাজার টাকা থাকায় কিছুটা সন্দেহও দানা বাঁধে। বালকটিতে তার নাম-পরিচয় জিজ্ঞেস করে কোনও তথ্য না মেলায় স্থানীয়রা যোগাযোগ করেন হিঙ্গলগঞ্জ থানায়।


হিঙ্গলগঞ্জ থানার পক্ষ থেকে প্রাথমিক কথাবার্তার পরও কোনও তথ্য না বেরিয়ে আসায় তারা যোগাযোগ করেন হ্যাম রেডিওর প্রতিনিধিদের সঙ্গে। বালকটির ছবি ও তথ্য দিয়ে যোগাযোগের পর হ্যাম রেডিওর তরফে চালানো হয় অনুসন্ধান। তারাই শেষমেশ বালকের পাটনার পাথরহাটায় বাড়ির সন্ধান খুঁজে বের করেন। বালকের বাবার নাম রবীন্দ্র প্রসাদ বলে খোঁজ পান তারা। ওয়েস্টবেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সভাপতি অম্বরিশ নাগ বিশ্বাস জানান, ওই কিশোরের হাতের ট্যাটু দেখে তাকে শনাক্তকরণ করা হয়। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর জানা যায় মাস খানেক আগে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে হঠাৎই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল বালকটি। ছেলের খোঁজ করেও না পেয়ে মনমরা হয়ে পড়েছিলেন রবীন্দ্র প্রসাদ ও তাঁর স্ত্রী। যদিও শেষমেশ ছেলেকে ফিরে পেয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস তাদের।


কয়েকদিন আগে উত্তর দিনাজপুরেও কার্যত একইরকম ঘটনা দেখা গিয়েছিল। উত্তরপ্রদেশ থেকে দিকভ্রষ্ট হয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে পড়েছিল এক যুবক। বিশেষভাবে সক্ষম সেই যুবকের বাড়ির খোঁজ পেতেও বেশ বেগ পেতে হয়েছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রেও শেষপর্যন্ত তাঁকে তুলে দেওয়া সম্ভব হয়েছিল তার পরিবারের সদস্যদের হাতে। এবার বিহারেরও এক দিকভ্রষ্ট নাবালককে ফিরিয়ে দেওয়া হল তাঁর ঠিকানায়।