সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: নির্বাচন দোরগোড়ায় আর রাজনৈতিক দলগুলো কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে। আর সেখানে দফায় দফায় রাজনৈতিক তরজা প্রকাশ্যে আসছে।  বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে দেগঙ্গা ব্লকের সবথেকে বড় স্বাস্থ্য কেন্দ্র বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে ইলেকট্রিক জেনারেটরের ব্যবস্থা করাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে দেগঙ্গাতে।


দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর হাসপাতাল ব্লকের প্রায় ১০ হাজার মানুষের একমাত্র ভরসার স্থল। ১৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জরুরীকালীন রোগী থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে রোগীরা ছুটে আসেন এই হাসপাতালে। কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছর তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার থাকার পরেও এই বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে কোনওরকম উন্নয়ন হয়নি। ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতারা এসে গালভরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবারে বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের ব্যবস্থা করে তীব্র কটাক্ষের মুখে পড়লেন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের বন ও ভূমির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ।



বিজেপির অভিযোগ, ভোটের সময় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে এবারে হাসপাতালকে ব্যবহার করছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। এই হাসপাতাল দীর্ঘ সময় ধরে বেহাল দশায় পড়ে রয়েছে। মানুষ চিকিৎসা করতে এসে লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। একজন চিকিৎসক কখনও এমার্জেন্সিতে যান কখনও আউটডোরে যান ৷ রোগীদের ভোগান্তির শেষ নেই। তাই বিশ্বনাথপুর হাসপাতালটিকে উন্নয়ন না করে বৈদ্যুতিক জেনারেটরের ব্যবস্থা করে তৃণমূল কংগ্রেস সুরাহা করতে পারবে। ভোটের সময় এসেছে, তারা কি করবে বুঝতে পারছে না ৷ তাই একের পর এক রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে কর্মপন্থা বেছে নিচ্ছেন।


তবে এ বিষয়ে কটাক্ষ উড়িয়ে দিয়ে এ কে এম ফারহাদ বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক, দিনে ২৪ ঘণ্টা আমরা কাজ করে চলেছি। ভারতীয় জনতা পার্টি সব জিনিসেই রাজনীতি দেখতে পায়! তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের শরিক হতে কাজ করে চলেছি। ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির অপপ্রচারে গুরুত্ব না দিয়ে বাংলার মানুষ উন্নয়ন দেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোট দেবে। মাঝে মাঝে চলে যায় বিদ্যুৎ। তাই জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে হাসপাতলে। হাসপাতালের আধুনিকীকরণের জন্য যা যা করা দরকার, তাই আগামী দিনে করা হবে বলে জানিয়েছেন ফারহাদ ।