হাওড়া: রাজ্যে ফের মারণ থাবা বসাল ডেঙ্গি! সোমবার রাতে কলকাতার একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয় হাওড়ার ডোমজুড়ে বাসিন্দা প্রীতম ঘোষের। বৃহস্পতিবার থেকে জ্বরে ভুগছিলেন অঙ্কে অনার্সের এই ছাত্র।
রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, এ বছর, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার নতুন করে ১৩৪ জনের শরীরে ডেঙ্গির ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার চার।
কিন্তু কবে কমবে মারণ-ডেঙ্গির এই প্রকোপ? চিকিৎসক শ্যামাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, যতক্ষণ পর্যন্ত না বৃষ্টি থামছে, জল জমা না কমছে, ততক্ষণ কমবে না। চিকিৎসকদের মতে, বর্ষার শুরু ও শেষের দিকেই মূলত মশাবাহিত রোগের দাপাদাপি দেখা যায়। হালকা বৃষ্টি হলে, বহু জায়গাতেই বৃষ্টির জল জমে থাকে। ফলে, সেখানে ডেঙ্গির মশার বংশবিস্তারের জন্য আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়। জমা জলে ডিম পারে মশককূল! কিন্তু একটানা ভারী বৃষ্টি হলে, জমা জল অন্য জায়গায় বয়ে যায়। যার জেরে ধুয়ে যায় মশার লার্ভা। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ  সৌমিত্র দত্ত বলেন, হয় প্রচুর বৃষ্টি হতে হবে, লার্ভা ধুয়ে যাবে। না হলে বৃষ্টি বন্ধ হয়ে তাপমাত্রা কমতে হবে।
ডেঙ্গিকে রুখতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। চলছে সচেতনামূলক প্রচার। কিন্তু তাতেও দমানো যাচ্ছে না মারণ-ডেঙ্গিকে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে এদিন শ্রীরামপুর পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখায় সিপিএমের যুব সংগঠন।