উত্তর ২৪ পরগনা: নিউ ব্যারাকপুরের তালবান্দায় গেঞ্জি কারখানা ও ওষুধের গুদামে বিধ্বংসী আগুন।
ঘটনাস্থলে কাজ করছে দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন। ৮ ঘণ্টা পর এখনও ভিতরে ঢুকতে পারেননি দমকল কর্মীরা। চারদিক দিয়ে জল দিয়েও আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। আগুন নেভাতে আনা হয় রোবট।
জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ৩টে নাগাদ তিনতলা বাড়ির একাংশে গেঞ্জি কারখানায় আগুন লাগে। তা যত বেলা বাড়ছে, আগুনের গ্রাস ততই বেড়ে চলেছে। আগুনকে কোনওভাবে বাগে আনা যাচ্ছে না। কারখানার একাংশ পুড়ে গেছে।
দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পাশের ওষুধের গুদামেও। সেখানে স্যানিটাইজার মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের।
কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সম্ভবত গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেছে। ঠান্ডা রাখার জন্য বিল্ডিংয়ে গায়ে জল দেওয়া হচ্ছে। আগুন উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। আগুন লাগার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।
কারখানার ৪ জন শ্রমিকের খোঁজ মিলছে না। সহকর্মীরা জানান, নিখোঁজদের মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ, কার্যত লকডাউন পরিস্থিতিতে সরকারি নির্দেশকে উপেক্ষা করে গেঞ্জি কারখানায় কাজ চলছিল।
দমকলের এক আধিকারিক জানান, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে। আগুন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে এখনও কিছুটা সময় লাগবে।
এদিকে, হাওড়ায় পাখার গুদামে আগুন। ভোর ৪টে নাগাদ গোলাবাড়ি থানা এলাকায় সিইএসসি অফিসের কাছে ওই গুদাম থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। উল্টোদিকেই দমকলের সদর দফতর।
দমকলের ৯টি ইঞ্জিনের ঘণ্টাদুয়েকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও কারখানার একাংশ ততক্ষণে পুড়ে গিয়েছে। শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে বলে প্রাথমিক তদন্তে দমকলের অনুমান।
অন্যদিকে, ইয়াসের তাণ্ডবের পরেই সাগরের চৌরঙ্গিতে কাঠকলে আগুন। গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ ওই কাঠকলে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ২টি ইঞ্জিন। ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও পুড়ে যায় কাঠকলটি। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।