দার্জিলিঙ:  বিমল গুরুং যখন ফের পাহাড়ে জায়গা তৈরির চেষ্টা করছেন, তখন একদিকে উন্নয়নের বার্তা, অন্যদিকে একাধিক পদক্ষেপের ঘোষণা, এই দুই অস্ত্রেই পাহাড়ের মন জয়ের চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মঙ্গলবার বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মিরিকে একশো শয্যার একটি হাসপাতাল তৈরি হবে। এছাড়া কার্শিয়ং, কালিম্পংয়ের উন্নয়নের জন্য পরিকল্পনা তৈরির জন্যও প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৮ জুনের এই অশান্তির পর মঙ্গলবার প্রথমবার দার্জিলিংয়ে পা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। যে পিনটেল ভিলেজে একসময় জিটিএ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, সেখানেই বৈঠক করলেন বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের সঙ্গে।
পাহাড়ের অশান্তিতে যাঁদের মৃত্যু হয়েছে এবং যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের পরিবারের জন্য এদিন আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, পাহাড়ের গোলমালে যারা মারা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা নেই, তারা ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ। পরিবারের একজন চাকরি। জিটিএ।
অশান্তির জেরে স্কুলে পড়াশোনার যে ক্ষতি হয়েছে, তা মেটাতেও দাওয়াই দিয়েছেন। বলেছেন, ছুটির দিনে অতিরিক্ত ক্লাস করে মেক আপ করতে হবে। সিলেবাস শেষ করতে হবে। বিনিময়ে তিন মাসের বেতন দিয়ে দেবে।
দার্জিলিং ট্যুরিজম ফেস্টিভ্যালের জন্য মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানান বিনয়রা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন। বলেন, ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে। তখন পাহাড়ে মিটিং হবে।
মঙ্গলবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, দার্জিলিঙের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।