রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ভোররাত থেকে দীর্ঘ লাইন ধূপগুড়ি হাসপাতালে। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার কথা ছিল আজ। কিন্তু পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাব। তাই বিক্ষোভ দেখা গেল। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন না পেয়ে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন বাসিন্দারা। তাদের সেইদিন ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল  হাসপাতাল থেকে। আজ তাদের ভ্যাকসিন দেওয়ার কথা হাসপাতালে। স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, কো ভ্যাকসিনের আকাল রয়েছে বলে আজ ভ্যাকসিন নাও দেওয়া হতে পারে এমনটাই জানানো হয়েছে। আর এই খবর কানে আসতেই স্বাভাবিক ভাবে ক্ষুব্ধ মানুষেরা।


রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ভ্যাকসিনের আকাল দেখা গিয়েছে এর আগেও। ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে গত সপ্তাহে ধূপগুড়ি  থেকে ফালাকাটা ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান ভ্যাকসিন নিতে আসা সাধারণ মানুষ। বিক্ষোভকারীরা জানান, কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নিতে আসেন। কিন্তু দ্বিতীয় ডোজ না মেলায় পথ অবরোধ করেন তাঁরা।


সাধারণ মানুষের অভিযোগ, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই তাঁরা আসছেন ভ্যাকসিন নিতে। কিন্তু ভ্যাকসিন না নিয়েই ফিরে যেতে হচ্ছে।  তাঁদের আরও অভিযোগ, লাইনে দাঁড়ালে হাসপাতালের তরফে ইস্যু করা হচ্ছে নির্দিষ্ট পরিমাপের টোকোন সিলিপ, কিন্তু মিলছে না ভ্যাকসিন। প্রতি সপ্তাহে একদিন শুধু বৃহস্পতিবার করে  ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক। আর সেই দিন ৩০০ -৪০০জনকে দেওয়া হয় ভ্যাকসিন, কিন্তু লাইনে প্রায় এক থেকে দেড় হাজার মানুষ দাঁড়িয়ে থাকেন। যাঁরা ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন তাঁদের অভিযোগ, টিকা নেওয়ার সময় হয়ে গিয়েছে এই মেসেজ মোবাইলে এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তা নিতেও বলা হয়েছে। কিন্তু অমিল ভ্যাকসিন। এই অভিযোগে চরম বিক্ষোভ দেখান সাধারণ মানুষ। আর ভ্যাকসিন না পাওয়াতে চরম বিক্ষোভ ঘটনাস্থলে ধূপগুড়ি থানার পুলিশ।


ভ্যাকসিন নিয়ে হয়রানি থেকে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ প্রথম নয়। ভ্যাকসিন হয়রানির অভিযোগে জয়নগর গ্রামীণ হাসপাতালে এর আগে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ না মেলায়, বাইরে কাজে যেতে সমস্যা হচ্ছিল তাঁদের।