জয়দীপ হালদার, ডায়মন্ড হারবার: প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে আসা যুবককে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকার স্বামীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবারের চাঁদনগর গ্রামে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক প্রেমিকাও। স্থানীয় সূত্রে খবর, উস্তির বাসিন্দা পল্টু পুরকায়স্থর সঙ্গে বিয়ের আগে থেকে সম্পর্ক ছিল তরুণীর। অভিযোগ, গতকাল প্রেমিকার শ্বশুরবাড়িতে যান বছর তিরিশের ওই যুবক। সেখানেই তাঁকে পিটিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।
গত মাসেই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে শাশুড়ির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করায় এক যুবককে খুনের অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা তপন বেরার মৃতদেহ পুকুরে ভাসতে দেখা যায়। মৃত্যুর পরতে পরতে জড়িয়ে রহস্য। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের প্রতিবেশীরা জানান, তপন বেরা একটি লটারি সেন্টারের কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, এই সেন্টারের মালিকের সঙ্গে তপনের শাশুড়ির বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
পরিবার সূত্রে খবর, শাশুড়ির এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি তপন। অভিযোগ, এ নিয়ে আপত্তি জানানোয় শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হয় জামাইকে। এ নিয়ে গ্রামে বসে সালিশি সভা। এরপরই উদ্ধার হয় তপনের দেহ।
মৃতের আত্মীয়ের বয়ানে জানা গিয়েছে, শ্বশুরবাড়ির অশান্তির কথা বলেছিল তপন বেরা প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, তার জাতীয় কিছু দিয়ে, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় তপনকে। তাই গলার কাছে ছিল ক্ষতচিহ্ন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে মাথার পিছনে আঘাত করা হয়। এরপর মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয় পুকুরে।
ছেলের শোক সহ্য করত না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন তপনের মা। তমলুক হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃতের বাবা শ্রীকান্ত বেরা ছেলের খুনিদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান। যদিও খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেন মৃতের শাশুড়ি। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এরই মধ্যে রাজ্যের অন্য এক প্রান্তে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে খুনের অভিযোগ উঠল।