ঋত্বিক প্রধান, পূর্ব মেদিনীপুর: সংক্রমণ কমতেই দিঘার সৈকতে পর্যটকদের ভিড়। বারবার বলা সত্ত্বেও বালাই নেই করোনা বিধি মানার। এবার কড়া ভূমিকায় প্রশাসন। নিয়মভঙ্গের জেরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৩০ জন পর্যটককে আটক করা হয়।
মন শুধুই ফূর্তি। পরোয়া নেই করোনাজনিত পরিস্থিতিকে। দিঘায় এ ছবি দেখে মনে হয় যেন... কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা। করোনার দুঃসহ স্মৃতি মনে রাখার ফুরসত কোথায়! কারোর মাস্ক ঝুলছে থুতনিতে! কারও সেটাও নেই! পূর্ব মেদিনীপুরের দিঘার সমুদ্র সৈকতে বিধিভঙ্গের ছড়াছড়ি।
বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন, সঙ্কট এখনও কাটেনি। করোনার তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। পরামর্শ দিচ্ছেন, মাস্ক পরুন.....সামাজিক দুরত্ববিধি মানুন...কিন্তু, তারপরও সেই ডোন্ট কেয়ার মানসিকতা।
এই পরিস্থিতিতে বাবা-বাছা করে বুঝিয়েও যখন লাভ হচ্ছে না।তখন অবাধ্যদের লাগাম পরাতে ধরপাকড়ে নেমেছে দিঘা প্রশাসন। নিয়মভঙ্গের জেরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে আটক করা হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অমরনাথ কে জানিয়েছেন, মাস্ক না পরে থাকা, নিয়মভঙ্গের জন্য গ্রেফতার, অভিযান চলবে।
থানায় তুলে নিয়ে যেতেই অবাধ্যরা মুখ ঢেকেছেন মাস্কে। অনেকেই আবার বিধি না জানার কথাও বলেছেন।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেছেন, টেস্ট করিয়ে আসতে হবে। এখানে পজিটিভ এলে কি হবে। কিছুদিন পরেও আসতে পারেন।
কথায় বলে, আপন ভাল পাগলেও বোঝে।কিন্তু, দু’দফায় করোনার ভয়ঙ্কর দাপট দেখার পরও অনেকের বোধোদয় হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, করোনার সংক্রমণ সামান্য নিয়ন্ত্রণে আসতেই দিঘা , মন্দারমণি , শঙ্করপুরে ফের ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের। কিন্তু, অধিকাংশ পর্যটকই অসচেতন ও উদাসীন। এই অবস্থায় কয়েকদিন আগেই নতুন বিধিনিষেধ জারি করেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি মহকুমা প্রশাসন। বলা হয়েছে, এবার থেকে হোটেলে রুম ভাড়া নিতে হলে থাকতে হবে কোভিড টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট। অথবা নিতে হবে ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ। তবেই মিলবে রুম নইলে নয়।