পূর্ব বর্ধমান: একদিকে সুড়ঙ্গের রহস্য, অন্যদিকে গুপ্তধনের জল্পনা। সব মিলিয়ে এখনও উত্তেজনায় ফুটছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের মাহাতা গ্রাম।এই পরিস্থিতিতে সোমবার দুপুরে গ্রামে আসেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের আধিকারিকরা। সুড়ঙ্গের মাটি খুঁড়ে সংগ্রহ করেন নমুনা।


কী পেলেন পুরাতত্ত্ববিদরা? জানতে দুপুরের পর আরও ভিড় বাড়ে এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে।

পুরাতত্ত্ববিদরা জানিয়েছেন, সুড়ঙ্গটি লম্বায় সাড়ে ৭ ফুট, উচ্চতা ৪ফুট ৩ ইঞ্চি, চওড়া ২ ফুট ২ ইঞ্চি। যে ইট দিয়ে সুড়ঙ্গতি তৈরি তা লম্বা ১৫ সেমি, চওড়া ৭ সেমি ও উচ্চতা  ৪ সেমি। সুড়ঙ্গের গঠন দেখে তাঁদের অনুমান এটি চতুর্দশ থেকে সপ্তদশ শতকের মধ্যবর্তী সময়ে। আবার ইটের গঠন দেখে অনুমান ষোড়শ থেকে সপ্তদশ শতকের নির্মাণ। নমুনা পরীক্ষার পরই এনিয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছনো সম্ভব।

বছর ছয়েক আগে গ্রামের সিংহ পরিবারের কাছে কুনুর নদী তীরবর্তী জমিটি কেনেন জিয়ারুল মল্লিক নামে এক ব্যক্তি। সম্প্রতি সেই জমিতে বাড়ির ভিত খোঁড়া শুরু হয়। একটু খুঁড়তেই হদিশ মেলে এই সুড়ঙ্গের।

গত ২ দিনের মতো, এদিনও সুড়ঙ্গ দেখতে ভিড় করেন অসংখ্য মানুষ। সবারই মনে একটাই প্রশ্ন - কী আছে সুড়ঙ্গের গভীরে?

এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি পুরাতত্ত্ববিদরা।

তঁরা জানিয়েছেন, নমুনা পরীক্ষার পরই ঠিক কর হবে আর খোঁড়াখুঁড়ি করা হবে কি না।