শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: সরকারি হাসপাতালে বসে অস্ত্রোপচারের জন্য নিচ্ছেন মোটা টাকা। অভিযোগ মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক সুব্রত রায়ের বিরুদ্ধে। চাপে পড়ে দোষ স্বীকার অভিযুক্তর। দিলেন টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি। তদন্তের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের।


যেখানে বিনামূল্য অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা, সেখানেই রোগীর পরিজনদের থেকে টাকা নেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ! অভিযুক্ত চিকিৎসককে ঘিরে বিক্ষোভ রোগীর পরিজনদের।

কোচবিহারের বাসিন্দা এক ব্যক্তির দাবি, দিন কয়েক আগে ছেলের চিকিৎসার জন্য অভিযুক্ত চিকিৎসকের কাছে আসেন তিনি। অস্ত্রোপচারের খরচ বাবদ ১০ হাজার টাকা নেন ওই চিকিৎসক। পরে ওই পরিবার জানতে পারে, সরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় বিনামূল্যে। এদিন অভিযুক্ত চিকিৎসককে ঘেরাও করে ক্ষোভ উগরে দেন রোগীর পরিজনরা। চাপে পড়ে টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন অভিযুক্ত সার্জন। দেন টাকা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি।

মেখলিগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালের সুপার কাশীনাথ পাঁজা জানিয়েছেন, ‘এই প্রথম ঘটনার কথা জানাতে পারলাম। তদন্তে দোষ প্রমাণ হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

অভিযোগ, এর আগেও রোগীর পরিজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে বসে কী করে এমন কাজ করলেন তিনি? কেন তা কর্তৃপক্ষের কারও নজরে এল না, সেই প্রশ্ন উঠছে।