কলকাতা: বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে যোগ দিয়ে পুলিশের তাড়া খেয়ে মাটিতে লুটোপুটি বাবা-মেয়ের। বুকে দলীয় প্রতীক , মুখে কর্মসংস্থানের দাবিতে বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানে এসেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশের তাড়া খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন বৃদ্ধ। ধুলোয় লুটোপুটি মেয়েরও। তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে এলেন দুই পুলিশকর্মী। মাটি থেকে তুললেন তাঁদের।
কর্মসংস্থান-সহ একাধিক দাবিতে বিজেপি যুব মোর্চার নবান্ন অভিযানের দিন এই ছবি দেখা যায় বড়বাজারে ।নবান্নমুখী বিজেপি নেতা-কর্মীদের রুখতে কোথাও লাঠিপেটা করে পুলিশ, কোথাও জলকামান ব্যবহার করা হয়। কোথাও আবার কাঁদানে গ্যাসের সেল, সানসেল ব্যবহার করেছে পুলিশ। হাওড়া ব্রিজের দিক থেকে পুলিশের তাড়া খেয়ে বিজেপি কর্মীরা চলে আসেন বড়বাজারে। জমায়েত হঠাতে বড়বাজারেও লাঠিচার্জ করে পুলিশ।বিজেপি কর্মীদের বলতে শোনা যায়, পুলিশ আমাদের মেরে ফেলে দিচ্ছে।
এদিকে, হাওড়ার মল্লিক ফটক থেকে সাঁতরাগাছিতে পুলিশকে লক্ষ্য করে দেদারে ছোড়া হয় ইট, বোতল। একই ছবি হেস্টিংস থেকে শুরু করে মল্লিকফটকে। মূল রাস্তা থেকে সরলেও হাওড়া ময়দান সংলগ্ন বিভিন্ন গলিতে জড়ো হন বিজেপি কর্মীরা। সেখান থেকেই দফায় দফায় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি করা হয়। পাল্টা ইট ছোড়ে পুলিশও।


এদিকে, বিজেপি যুব মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতি তেজস্বী সূর্য হুঁশিয়ারি দেন, মমতার রাজত্বের অন্ধকার ঘুঁচবে। বিজেপির পূর্ণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। মমতা বিরোধীদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেন বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
রাজপথে ধুন্ধুমার। পিস্তল উদ্ধার-বোমাবাজি-লাঠিচার্জের ছবি দেখে বিজেপি-তৃণমূলকে একযোগে বিঁধে সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য বলেন, আজ পিস্তল উদ্ধারের ছবি দেখে ১৯৯৩-এর কথা মনে পড়ে গেল, সেদিনও মমতার মিছিলে অস্ত্র নিয়ে এসেছিল ওরা। সব মিলিয়ে বিজেপি যুব মোর্চার কর্মসূচি ঘিরে অশান্তি ছড়াল হাওড়ার নানা জায়গায়, কলকাতার একাংশে।