বৃহস্পতিবার নবান্নে ডেঙ্গি নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর এর একদিনের মধ্যেই উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গায় সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যাওয়ার পরামর্শের অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা।
শুক্রবার দেগঙ্গার কলসুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিদর্শনে গিয়ে বিষয়টি চোখে পড়ে স্থানীয় বিধায়ক রহিমা মণ্ডলের। দেখে প্রতিবাদ করেন তিনি। পাল্টা সাফাই দেন সরকারি চিকিৎসক এস চন্দ্র। তাঁর দাবি, ‘এখানে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই। সেজন্যই বেসরকারি ল্যাবে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কাটমানি খাইনি। রোগীদের সুবিধার্থেই করছি। এটা যদি অন্যায় হয়, তাহলে অন্যায় করেছি।’
গ্রামবাসীদেরও দাবি, প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রক্ত পরীক্ষার পরিকাঠামো নেই। সেজন্যই বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিতে যেতে হয় বাধ্য হয়ে। এই সুযোগে দেগঙ্গার বেড়াচাঁপা এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেসরকারি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারি পরিকাঠামো নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ। সরকারি পরিকাঠামোর উন্নতি হবে কবে? এমন পরিস্থিতি কখন তৈরি হবে যখন কাউকে আর বাধ্য হয়ে বেসরকারি প্যাথোলজিক্যাল ল্যাবে যেতে হবে না? সাধারণ মানুষের মনে এইসব প্রশ্নের মধ্যেই বেসরকারি ল্যাবরেটরিগুলির ওপর নজরদারি শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবরেটরিতে নোটিস দিয়ে জানানো হয়েছে, ডেঙ্গির রক্তপরীক্ষা যেন তারা না করে।