হুগলি: ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে হুগলির পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে উত্তেজনা। হাসপাতালে ইটবৃষ্টি করেন উত্তেজিত জনতা। 


ইটের ঘায়ে আহত হন এক চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মী। মৃতদেহ আটকে হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিজনরা। এর ফলে জিটি রোডে অবরোধ শুরু হয়। 


বুকে ব্যথা নিয়ে আজ সকালে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হন বছর আঠাশের শেখ ইসলাম। পরিবারের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ওষুধ দেওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়। 


এরপর ভুল চিকিৎসায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ তুলে হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন মৃতের পরিজনেরা। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে জিটি রোডে অবরোধ চলে। 


অবশেষে পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।


চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে বিক্ষোভ-ভাঙচুর-অবরোধের ঘটনা নতুন নয়। এর আগে, একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা গিয়েছে একই ছবি। 


গতমাসে চিকিৎসার গাফিলতিতে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটের রাজারহাট ক্যাম্পাস। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে মারপিটে জড়িয়ে পড়লেন হাসপাতালের দুই দল কর্মী।


মৃত করোনা রোগী চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটেরই হাউসকিপিং বিভাগের কর্মী ছিলেন। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালের বিক্ষোভ দেখান হাসপাতালের হাউসকিপিং বিভাগের কর্মীরা। 


অভিযোগ, সেই সময় তাঁদের বাধা দেন হাসপাতালের সিভিল বিভাগের কয়েকজন কর্মী। এরপরই দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট শুরু হয়ে যায়। 


গত ১৮ মে, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ থেকে নার্সিংহোমে স্থানান্তর করার পর সেখানে করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার আগেই মৃত্যু হয় রোগীর। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখায় মৃতের পরিবার। পরে বহরমপুর থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।


মে মাসের মাঝামাঝি, দেখভালে গাফিলতিতে জোকার ইএসআই হাসপাতালে করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠে। সকালে হাসপাতালের সুপারের ঘরে ঢুকে রীতিমতো তাণ্ডব চালান মৃতের পরিজনেরা। মেডিক্যাল অফিসারকে আঙুল উঁচিয়ে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকি গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতালে আসে পুলিশ।