কালিম্পঙ: শুক্রবার মাঝরাতে বিস্ফোরণ হয়েছিল দার্জিলিঙের চকবাজারে। থানা থেকে বিস্ফোরণস্থলের দূরত্ব ২০০ মিটার। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল কালিম্পঙ! এবার বিস্ফোরণ ত্রিকোণ পার্ক লাগোয়া কালিম্পঙ থানায়! দার্জিলিঙের ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও, কালিম্পঙে প্রাণহানি পর্যন্ত হল!

শনিবার রাত তখন ১০.৪৫। পুলিশ সূত্রে দাবি, থানা লক্ষ্য করে বাইরে থেকে একটি শক্তিশালী হ্যান্ড গ্রেনেড ছোড়া হয়। কিন্তু একটি বিদ্যুতের তারে লেগে সেটি থানা চত্বরের যেখানে পতাকা তোলা হয় সেখানে পড়ে ফেটে যায়। কেঁপে ওঠে গোটা শহর!

সেখানে তখন কয়েকজন সিভিক পুলিশ ও হোমগার্ড ছিলেন। সপ্লিন্টারের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায় তাঁদের শরীর। বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় সিভিক পুলিশ রাকেশ রাউতের (৩১)। আহত দু জন পুলিশকর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এর ৫২ মিনিটের মধ্যেই কালিম্পঙ থানার গেটে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ হয়।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেছেন, ‘অনেক বড় মাথা পিছনে। সারা বাংলাকে অশান্ত করার গভীর চক্রান্ত চলছে। বিমল গুরুঙ্গকে গ্রেফতার করতে হবে। প্রশাসন কঠোর হাতে হিংসা দমন করবে। সবরকম হিংসা প্রতিহত করব।’

দার্জিলিঙের মতো এক্ষেত্রেও অভিযোগ অস্বীকার করেছে মোর্চা। তাদের দাবি, গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনকে ভেস্তে দিতেই লাগাতার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যদিও পুলিশ-প্রশাসনের দাবি, নেপথ্যে রয়েছে মোর্চাই। অচলাবস্থার মধ্যে ফের তারা পাহাড়কে উত্তপ্ত করতে চাইছে।