পূর্ণেন্দু সিংহ ও রানা দাস : বাঁকুড়ায় করোনা আক্রান্তদের সমস্যা মেটাতে দুয়ারে খাবার কর্মসূচি নিল তৃণমূল। বিনামূল্যে সংক্রমিতদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার। এদিকে, পূর্ব বর্ধমানের কালনায় করোনা আক্রান্তদের জন্য নিখরচায় টোটো অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করেছে শাসক দল।
বিপদের সময় ঝাঁপিয়ে পড়েছে বাম ছাত্র-যুবদের উদ্যোগে তৈরি রেড ভলান্টিয়ার্স। তৃণমূলও নিজেদের মতো করে পথে নেমেছে। দিচ্ছে পাশে থাকার আশ্বাস। সঙ্কটকাল যেমন অমানবিক ছবি দেখায়, তেমনি মানুষকে কাছাকাছিও এনে দেয়। কোথাও নিখরচায় কোভিড আক্রান্তের জন্য পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার। কোথাও আবার সংক্রমিতদের জন্য বিনামূল্যে টোটো অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা।
হোম আইসোলেশনে যেসব করোনা আক্রান্তরা রয়েছেন, তাঁদের অনেকের হয়তো বাড়িতে রান্না করার অবস্থা নেই। কিংবা পরিবারের কেউ অসুস্থ। তাঁদের জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে বাঁকুড়া ১ নম্বর ব্লকে শুরু হল দুয়ারে খাবার কর্মসূচি।
ভাত, সবজি, ডিমের ঝোল আর চাটনি থাকছে মেনুতে। একটি নম্বরে যোগাযোগ করলেই পৌঁছে দেওয়া হবে লাঞ্চ। রোজ ২০০ জন করোনা রোগীর বাড়িতে তৃণমূল পৌঁছে দিচ্ছে খাবার। পরবর্তীতে তা দেওয়া হবে জেলাজুড়ে।
এদিকে, পূর্ব বর্ধমানের কালনায় আবার শাসক দলের অন্যরকম মানবিক উদ্যোগ। সঙ্কটকালে হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আক্রান্তদের। অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা যে ভাড়া হাঁকছেন, তা দেওয়ার সামর্থ্য নেই একটা বড় অংশের মানুষের। তাঁদের জন্য রবিবার থেকে বিনামূল্যে শুরু হল টোটো অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। টোটোয় রয়েছে ফোন নম্বর।
ফোন করলেই টোটো পৌঁছে যাবে বাড়িতে। কালনা শহরে এদিন থেকে চক্কর মারছে পাঁচটি টোটো। কালনার তৃণমূল বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেছেন, 'কালনা মহকুমায় যেভাবে করোনার সংখ্যা বাড়ছে হাতে-গোনা অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া যাচ্ছে না, টোটো করে অ্যাম্বুল্যান্স দেওয়া হচ্ছে, আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক।' যদিও যা নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বর্ধমান পূর্বের বিজেপির সহ সভাপতি অনিল দত্ত বলেছেন, 'কয়েকদিন আগে অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা ধরা পড়ে অক্সিজেনের কালোবাজারি করতে গিয়ে, নজর এড়াতে এসব করছে তৃণমূল, এর থেকে মানুষকে পরিষেবা দিক।'