মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিম বর্ধমান: টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত রাজ্য। দার্জিলিং-এর ফের ধস কোলিয়ারিতে। এবার ঘটনাস্থল অন্ডাল থানার খাস কাজড়া এলাকায়। ইসিএলের ১০ নম্বর কোলিয়ারিতে ধস নামে। স্থানীয় সূত্রে খবর শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। শনিবার সকালে ইসিএলের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন। দুর্ঘটনা এড়াতে আপাতত ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে।  


ধস কবলিত এলাকায় সামনেই রয়েছে জনবসতি। কাজেই ধসের ঘটনা আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা রাজেন দাস জানিয়েছেন, 'একেবারে জনবসতি সামনেই এ ভাবে ধসের ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।' যে কোনও সময় মাটির তলায় জনবসতি এলাকাও তলিয়ে যেতে পারে বলে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। যদিও ইসিএলের তরফে খাস্তা জোড়া কোলিয়ারির জেনারেল ম্যানেজার এস দত্ত জানান, 'আগে থেকেই সতর্ক করে বোর্ড লাগানো হয়েছিল। কেউ সম্ভাবত সেটা ভেঙে দিয়েছে।' উল্লেখ্য, এলাকার মানুষকে সতর্ক করতে ফের গার্ড বসানো হয়েছে এলাকায়। 


মৌসুমী বায়ু ও নিম্নচাপের জোড়া ফলায় দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গও। টানা ভারী বৃষ্টির জেরে কালিম্পং-সহ পাহাড়ের একাধিক জায়গায় ধস নামে গতকালই। শুক্রবার বৃষ্টির মধ্যেই চলছিল সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ। সেই সময়েই হঠাৎই ধস নেমে চাপা পড়ে যান ৮ জন শ্রমিক। ইতিমধ্যে ২ জনের দেহ উদ্ধার করা গেলেও অনেকের দেহ মেলেনি।


সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত ২ শ্রমিকের মৃতদেহ মিলেছে। ২ জন শ্রমিককে আহত অবস্থায় উদ্ধারও করা সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও ৪ জন শ্রমিকের কোনও সন্ধান এখনও মেলেনি। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস নামায় বন্ধ কালিম্পং ও শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা।


গতকাল পুলিশ সুপার হরেকৃষ্ণ পাই জানিয়েছিলেন, '৪ জন এখনও নিখোঁজ। ২ জনের দেহ পাওয়া গেছে। আরও ২ জনকে উদ্ধার করা গেছে।' অন্যদিকে, কালিম্পংয়েরই শিসোপানি গ্রামে ধস নেমে ক্ষতি হয়েছে ৩টি বাড়ির। আহত অবস্থায় ৩ জনকে উদ্ধার করে কালিম্পং জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকার ২২টি পরিবারকে সরকারি সহায়তায় নিরাপদ স্থানে সরানো হয়। কালিম্পঙের শিসোপানির বাসিন্দা সুভাষ ছেত্রী জানান, 'রাতে ধস নামে। সবাই আতঙ্কে রয়েছে। ২২টি পরিবার নিরাপদ জায়গায় যাচ্ছে।'