হিন্দোল দে, কলকাতা: মৃত্যুর পর ফিরল হুঁশ। দমদমে (Dumdum) স্থায়ী ভাবে ম্যানহোল (Manhole) মেরামত করল পূর্ত দফতর (PWD)। ঢেকে দেওয়া হয়েছে ঘাতক ম্যানহোলটি। শুক্রবার রাতে ওই ম্যান হোলে পড়েই মৃত্যু হয় অটোচালক (Auto Driver) রঞ্জন সাহার (Ranjan Saha)।


কলকাতার (Kolkata) বুকে ফের প্রাণ কাড়ে ম্যানহোল।  দমদমে খোলা ম্যানহোলে পড়ে, মর্মান্তিক মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির।  মৃত রঞ্জন সাহা পেশায় অটোচালক ছিলেন। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বেদিয়াপাড়ায় থাকতেন তিনি। শুক্রবার রাতে মালিকের বাড়িতে অটো রেখে ফিরছিলেন রঞ্জন। পরিবারের দাবি, ফুটপাথ ধরে হেঁটে আসার সময়, সেভেন ট্যাঙ্কসের কাছে, ফুটপাথে খোলা ম্যানহোলে পড়ে যান তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R G Kar Medical College) নিয়ে গেলে, সেখানেই মৃত্যু হয় ৫১ বছরের রঞ্জন সাহার।


কিন্তু, এই ঘটনার জন্য দায়ী কে? তা নিয়ে শুরু হয় টানাপোড়েন। এই মৃত্যুর জন্য, সরাসরি পুরসভার (Kolkata Municipal Corporation) দিকে আঙুল তোলে তাঁর পরিবার। অন্যদিকে, স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর (Co-Ordinator) কার্যত দায় চাপান এলাকাবাসীর একাংশের ঘাড়েই। পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর পুষ্পালি সিনহা বলেন, “মর্মান্তিক মৃত্যু, ঢাকনা চুরি হয়ে যাচ্ছে, নজরদারি বাড়াতে বলেছি। বস্তির লোকজন সরিয়ে টয়লেট করার জন্য ঢাকনাগুলিকে সরিয়ে দেয়, চুরি হয়ে যায়।’’


তৃণমূলের ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর যখন কার্যত স্থানীয়ের একাংশের ঘাড়ে দায় ঠেলেছেন, তখন কলকাতা পুরসভা আবার পূর্ত দফতরের কোর্টে বল ঠেলে। পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের সদস্য তারক সিংহ বলেন, “পুরসভার ব্যপার নেই, দেখভাল করে পিডব্লুইডি, স্ল্যাব খোলা ছিল, ঢালাই, চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, ওরা ঠিক করেছিল, চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল, প্রশ্ন হচ্ছে- খবর পেয়ে তদন্ত করে দেখেছি, ম্যানহোল নেই, মেনটেন বাই পিডব্লুইডি, পুরসভার বিষয় নেই। যদিও শেষমেশ ফিরল টনক।’’


আরও পড়ুন: Brucellosis Infection: গবাদি পশুকে ইঞ্জেকশন দিতে গিয়ে বিপত্তি, রাজ্যে ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত আরও ৪