মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: কাউন্সিলরের সই এবং সিলমোহর নকল করে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার পর্দা ফাঁস হল দুর্গাপুরে। অভিযোগ, রাজ্য সরকারের রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে দুর্গাপুরের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুস্মিতা ভূঁই-এর সই এবং সিলমোহর নকল করেন স্থানীয় যুবক উৎপল রায়। যিনি সিপিআইএমের টিকিটে জয়ী প্রাক্তন কাউন্সিলরের আত্মসহায়ক ছিলেন বলে দাবি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের।


স্থানীয় পৌর মাতা সুস্মিতা ভূঁই জানান, 'ওয়ার্ড থেকে রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা দরখাস্ত করে দুটি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল দুর্গাপুর নগর নিগমে। সেই দরখাস্তের স্ক্রুটিনি চলার সময় জাল সই, সিলমোহর নকল বলে ধরা পরে। আবেদনকারী সুস্মিতা দাস এবং দীপিকা দাসের প্রায় দশ বছর আগে বিয়ে হয়ে গেছে। প্রাক্তন সিপিআইএম কাউন্সিলরের আত্মসহায়ক উৎপল রায় টাকা আত্মসাৎ করার জন্য জাল চক্রের ফাঁদ তৈরি করেছে। মেয়রের পরামর্শে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা শুরু হয়েছে।'


দুই সন্তানের মা পেশায় পরিচারিকা দীপিকা দাস বলেন, '২৫ হাজার টাকা পাওয়া যাবে রূপশ্রী প্রকল্পে এমনটাই জানিয়েছিলেন সম্পর্কে পাড়ার মামা উৎপল রায়। প্রাপ্ত অর্থের থেকে ১৪ হাজার টাকা তারা আমায় দেবে এবং বাকিটা নিয়ে নেবে এমন প্রস্তাবে রাজি হয়ে ভুল কাজ করেছি। স্বামী পেশায় সবজি বিক্রেতা। লকডাউনে সংসার চলে না। তাই এই কাজে রাজি হয়েছিলাম।'  নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে উৎপল রায় দাবি করেন, 'সমাজ সেবা করার উদ্দেশ্যেই রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা গরীব পরিবার দুটিকে পাইয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। এর আগেও সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার কাজ করেছি। তবে এর জন্য কোন অর্থ দাবী করিনি কখনও।' এদিকে এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের মধ্যে। বুধবার ধৃত ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানান পৌর মাতা সুস্মিতা ভুঁই। উল্লেখ্য, এর আগেও রূপশ্রী প্রকল্পের টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ এসেছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।