ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: পার্ক হোটেলে কীভাবে বিদেশিনি ও মহিলাদের নামে রুম বুক করে পার্টি চলত? হোটেলের করিডরেই বা কীভাবে চলছিল ডিজে পার্টি? হোটেল কর্তৃপক্ষের অজ্ঞাতসারে কী তা সম্ভব? তাহলে কী পার্টি আয়োজনে হোটেল কর্তৃপক্ষের যোগসাজস ছিল? সূত্রের খবর, এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে পার্ক হোটেলের ম্যানেজার ও পদস্থ আধিকারিক-সহ ৬ জনকে ফের লালবাজারে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এর আগে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের বয়ানে অসঙ্গতি মেলে। সেই কারণে আগামীকাল বেলা ১২টা নাগাদ ফের লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
করোনা-বিধি উড়িয়ে মধ্যরাতে পার্কস্ট্রিটের পাঁচতারা হোটেলে স্যাটার্ডে নাইট পার্টি। বাধা দেওয়ায় পুলিশের ওপর চড়াও হওয়ার অভিযোগ। গ্রেফতার করা হয় ৩৭ জনকে। বাজেয়াপ্ত করা হয়,মার্সিডিজ-সহ ২টি বিলাসবহুল গাড়ি। বিদেশি মদের বোতল ও গাঁজা। গত ১০ জুলাই পার্ক হোটেলের ৩ ও ৪ তলার করিডরে মিড নাইট পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বাজানো হয়েছিল তারস্বরে গান। অভিযোগ, মদের ফোয়ারা আর হুকার ধোঁয়ায় মজেছিলেন একঝাঁক তরুণ-তরুণী। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, পার্ক হোটেল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে পার্টি চলাকালীন তারা মদ সরবরাহ করেনি। তাহলে যাঁরা পার্টি করছিলেন, তাঁরা বাইরে থেকে মদ নিয়ে এসেছিলেন কিনা তা খতিয়ে দেখতেই হোটেল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ চায় আবগারি দফতর।
পার্ক হোটেলকাণ্ডে এর আগে গত ১৭ জুলাই জেনারেল ম্যানেজারকে তলব করে লালবাজার। পুলিশের দাবি, মহিলাদের নামে বুক করা হয়েছিল হোটেলের ঘর। মাঝেমধ্যেই এই মহিলাদের নামে হোটেলে ঘর বুক করা হতো। এমনকি বিদেশিনীদের নামেও ঘর বুক করা হতো বলে জানা গেছে। পার্টির আড়ালে পার্ক হোটেলে অন্য কিছু চলত কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় আগেই জেনারেল ম্যানেজার ছাড়াও আরও ৯ জনকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এদের মধ্যে ঘটনার দিন হোটেলে উপস্থিত ছিলেন ফ্লোর ম্যানেজার, ফুড অ্যান্ড বেভারেজ ম্যানেজার ও পার্টির ডিজে।