আশাবুল হোসেন ও মনোজ্ঞা লহিয়াল, কলকাতা: রাজ্যসভায় জহর সরকারকে পাঠাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস।  ট্যুইট করে শাসক দলের পক্ষ থেকে এ কথা জানানো হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইট,  ‘জনসেবায় যুক্ত থাকার ৪২ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।  তিনি প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও।  তাঁর অভিজ্ঞতা আমাদেরকেও দেশসেবায় আরও বেশি সাহায্য করবে। তাঁকে রাজ্যসভার জন্য মনোনীত করে আমরা আনন্দিত।’


উল্লেখ্য, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে আগামী ৯ অগাস্ট উপনির্বাচন হবে। এই আসনের জন্যই জহর সরকারকে মনোনীত করল তৃণমূল। উল্লেখ্য, দীনেশ ত্রিবেদী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। 


উল্লেখ্য, এই আসনে মুকুল রায়, যশবন্ত সিনহার মতো নাম নিয়ে জল্পনা চলছিল। শেষপর্যন্ত জহর সরকারকে এই আসনে মনোনীত করে তৃণমূল চমক দিল বলে মনে করা হচ্ছে। 
আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কে জহর সরকার রাজ্য সরকারের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন। রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রসচিবকে বদলির নির্দেশ সংক্রান্ত বিতর্কে তিনি বলেছিলেন,'পুরোপুরি আইন মানা হচ্ছে না। কলকাতায় বসে কোভিড নিয়ন্ত্রণের জন্য তাঁকে ৯০ দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারে কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাহলে কোন নির্দেশ বলবৎ থাকছে? চাকরি শেষ হওয়ার পরেও অতিরিক্ত সময়ে কাউকে কেন্দ্রে সচিব করা হয়েছে, এমন উদাহরণ আমার জানা নেই।'


উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দলের লক্ষ্য যে ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যূত করা তা, স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের ২১ জুলাইয়ের ভার্চুয়াল সভা থেকে জাতীয় স্তরে এখন থেকেই জোট গড়ার ডাক দিয়েছেন তিনি। 


নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহদের বিরুদ্ধে প্রচার যুদ্ধের পর বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের ব্যাপক জয় জাতীয় রাজনীতিতে বিজেপি বিরোধী নেতৃত্বের মধ্যে সামনের সারিতে এনে দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এরমধ্যে তৃণমূল সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে তাঁকেই। এরইমধ্যে চারদিন সফরে দিল্লি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে অন্যান্য কর্মসূচীর মধ্যে বিরোধী নেতাদের সঙ্গেও তিনি বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।