বিটন চক্রবর্তী, পাঁশকুড়া: কল খুলতেই জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসছে কেঁচো, শ্যাওলা। কিন্তু কোনও উপায় না পেয়ে সেই জলই পান করছেন পাঁশকুড়ার একটি গ্রামের বাসিন্দারা। যদিও এই ঘটনা জানাই ছিল না পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির।
এক নজরে দেখে মনে হবে যেন, আতস কাচের তলায় থাকা কোনও জীবাণু। কিন্তু আদতে তা একেবারেই নয়। বরং বাস্তবটা আরও উদ্বেগের। বছরের পর বছর কল খুললেই, জলের সঙ্গে বেরিয়ে আসে এই সমস্ত কেঁচো, পোকা। আর বাধ্য হয়েই এই জল তাঁদের মুখে তুলতে হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ, পাঁশকুড়ার নস্করদিঘির বাসিন্দাদের। স্থানীয়দের বক্তব্য সকাল এবং বিকেলে মাত্র দু-ঘণ্টা করে মেলে পানীয় জল। যা নিতে লাইন পরে যায় গ্রামবাসীদের। কিন্তু, এত কষ্টের পরেও স্বস্তি নেই। তারপরও মেলে এই দূষিত জল।
পাঁশকুড়ার নস্করদিঘি বাসিন্দা সীমা অধিকারী বলেন, কয়েক বছর ধরে এরকম চলছে, কেঁচো বেরচ্ছে, স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েছি কোনও লাভ হয়নি। একটা গোটা গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছরের পর বছর তাঁরা দূষিত জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন। অথচ সেই খবরটাই না কি ছিল না পঞ্চায়েত সমিতির কাছে। কী বক্তব্য স্থানীয় প্রশাসনের? পাঁশকুড়ার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মনোরঞ্জন মালিক বলেন, “ আগে কেউ জানায়নি, আপনাদের মাধ্যমে খবর পেলাম, ওখানকার পঞ্চায়েতকে জানাচ্ছি, পুরসভাকে বলে যাতে জলের ট্যাঙ্ক পৌঁছনো যায়, তার ব্যবস্থা করছি।“
জল নিয়েও এখন চরম রাজনৈতিক জলঘোলা। পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি প্রতীক পাখিরা বলেন, তৃণমূলের জমানায় সবেতেই কাটমানি, নিম্নমানের পাইপ দিয়েছে, সেই পাইপ ফেটে কেঁচো ঢুকছেন। জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি শেখ সমীরুদ্দিনের অবশ্য দাবি ভিত্তিহীন অভিযোগ, ওরাই দুর্নীতিবাজ, আমরা ভোটে জিতে এসেছি বলে এসমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। নস্করদিঘির বাসিন্দাদের অবশ্য রাজনীতি নিয়ে কোনও আগ্রহ নেই, তাঁরা শুধু চাইছেন একটু শুদ্ধ পানীয় জল।