সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সাত সকালেই ঘনাল আঁধার। কালো মেঘে ঢেকে যায় শহরের আকাশ। তার সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আজ কলকাতায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। 


আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, এদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত মানিকতলায় ৪৭, পামার ব্রিজে ৪২, ঠনঠনিয়ায় ৫৩, উল্টোডাঙ্গায় ২৫, ধাপায় ২২ ও তপসিয়ায় ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।


ইতিমধ্যেই, শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জলমগ্ন। ইডেন গার্ডেন্সের সামনে জল জমেছে। জল জমেছে ভিআইপি রোডেও। 


আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, আজও বিক্ষিপ্তভাবে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। তবে ঘূর্ণাবর্ত সামান্য বাংলাদেশের দিকে সরেছে। এর ফলে বৃষ্টি কমবে দক্ষিণবঙ্গে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী সোমবার থেকে উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।  


বুধবার কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে জল থইথই হয়ে পড়ে উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতা ও সল্টলেকের বিস্তীর্ণ এলাকা। চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। 


পাতিপুকুর আন্ডারপাসে ডুবে যায় বাস। কোনওমতে, বাস থেকে নেমে, জল ঠেলে বেরিয়ে আসেন যাত্রীরা। বানভাসি রাজপথে বেরিয়ে ফের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ মানুষকে। 


বুধবার সবথেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে উত্তর কলকাতায়। কোথাও কোথাও তো প্রায় ৭০ মিলিমিটার। উত্তর কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিট, রাজা রামমোহন সরণী থেকে দক্ষিণ কলকাতার মুকুন্দপুর-- সর্বত্র জলমগ্ন হয়ে পড়ে।


জলে ভাসছে সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ, করণাময়ী, এফডি পার্ক-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। জল জমে যায় পূর্ব যাদবপুর থানার সামনের রাস্তাতেও। সব মিলিয়ে জলভাসি কলকাতায় জল-যন্ত্রণার প্রত্যাবর্তন ঘটে। 


বৃহস্পতিবার বৃষ্টি থামলেও, মহানগরের বেশ কিছু জায়গায় জল যন্ত্রণা ছিল অব্যাহত। ৩৬-ঘণ্টা পরও পাতিপুকুর আন্ডারপাসে জলে আটকে ছিল বাস।


পাতিপুকুর আন্ডারপাসে অবস্থা পাল্টায়নি।  একদিকের লেনে জল জমে থাকায় অন্য লেনে জল পেরিয়ে দু’দিকের যান চলাচল করছে। 


বৃষ্টির জমা জলে বেহাল অবস্থা বেহালারও। গতকাল শকুন্তলা পার্কের কাছে স্যাটেলাইট টাউনশিপে রাস্তায় গোড়ালি ডোবা জল ছিল।  


বেহালারই শকুন্তলা পার্কের পল্লিশ্রী এলাকায় রাস্তায় জল জমে ছিল। পরে যন্ত্রপাতি নিয়ে নিকাশির কাজ শুরু করেন পুরকর্মীরা। কৈখালির কাছে নিউটাউনমুখী ভিআইপি রোডও ছিল জলমগ্ন। 


আজ, শুক্রবার, ফের বৃষ্টি হলে, পরিস্থিতি আবার যন্ত্রণাদায়ক হবে বলে আশঙ্কা শহরবাসীর। অনেক জায়গায় এখনও জলমগ্ন। কয়েকটি জায়গায় গতকাল জল নেমেছে। এই পরিস্থিতিতে আজ ভারী বর্ষণ হলে, নতুন করে জল-যন্ত্রণা শুরু হবে।