কমলকৃষ্ণ দে, গুসকরা: আসল স্বর্ণমুদ্রা দেখিয়ে নকল সোনার কয়েন দিয়ে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এমনই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায়। কম দামে সোনার কয়েন দেওয়ার নামে মোটা টাকা হাতানোর বড়সড় চক্র চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই। সেউ চক্রের এক চাঁই সহ পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৩ জন।
স্বল্পমূল্যে সোনার কয়েন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তিন লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করল গুসকরা বিট হাউসের পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতদের নাম সাগর মণ্ডল, খোকন সাহা ও শেখ মেহের। তাদের মধ্যে সাগর ও খোকনের বাড়ি আউশগ্রামের ভেদিয়ায়। আর বীরভূমের সাঁইথিয়ার ভ্রমরকোল গ্রামের বাসিন্দা আরেক ঋত ব্যক্তি মেহের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পুরোনো আমলের প্রায় ২০০ টি সোনার মুদ্রা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর এলাকার বাসিন্দা বিমল কুমার মালকে। বিমল বাবুর অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে রাজীব দাস বলে একজন ফোনে বিমলবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানায় তার বাড়ির পাশে একটি পুকুর খননের কাজ করতে গিয়ে একটি কলসি উদ্ধার হয়েছে। তাতে অনেকগুলি সোনার মোহর পাওয়া গিয়েছে। সেগুলিকে কম টাকায় বিক্রি করে দেবেন। তারপরেই গত সপ্তাহে গুসকরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সেই মুদ্রা দেখানো হয়। সোনা কিনে তা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা করতে মুদ্রা থেকে এক টুকরো কেটে দেওয়া হয়।
এরপর গতকালই ৩ লক্ষ টাকার বিনিময়ে দুশোটা মুদ্রা দেওয়া হয় বিমলবাবুকে। কিন্তু এরপরই তা পরীক্ষা করা হয়, আদৌ সেগুলো সত্যিকারের সোনা কিনা। সেগুলো পরীক্ষা করলে দেখা যায় সেগুলি আসল সোনার নয়। এরপর রাতে গুসকরা বিট হাউসে অভিযোগ জানান বিমল বাবু। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ধৃতদের ভেদিয়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা, একটি নম্বরবিহীন মোটর বাইক ও ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়।