কমলকৃষ্ণ দে, মেমারি: পরপর দুটি কন্যা সন্তান হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ। এমনকি নির্যাতন করে খুন করার অভিযোগ স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে।
মৃতার নাম শাশ্বতী সরকার(৩১)। ২০০৭ সালে মেমারি ২ নম্বর ব্লকের পাহাড়হাটির কন্দর্পপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ সরকারের সহিত বিয়ে হয় ধাত্রীগ্রামের বাসিন্দা শাশ্বতী সরকারের।
বিয়ের পর তাদের প্রথম কন্যাসন্তান হয়। বর্তমানে তার বয়স ১১ বছর। বছর তিনেক আগে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান হওয়ায় অভিযোগ অশান্তি চরমে ওঠে।
মেয়ের বাপের বাড়ির অভিযোগ, দ্বিতীয়বার কন্যাসন্তান হওয়ায় প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করত ছেলের বাড়ির লোকজন। বিভিন্নভাবে অত্যাচার করা হতো। এনিয়ে বেশ কয়েকবার দু'পক্ষই আলোচনায় বসে।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, গতকাল রাত দেড়টা নাগাদ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা মৃতার ভাইকে ফোনে জানায় তাদের মেয়ের মৃত্যুর খবর। মেয়ের বাপেরবাড়ির পরিবারের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। তাদের দাবি, মৃতার মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে।
খুনের অভিযোগ দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মেমারি থানার পুলিশ। স্বামী বিশ্বজিৎ সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গতমাসে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে পণের দাবিতে গৃহবধূকে মারধর করে খুন করার অভিযোগ ওঠে স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের নরম কলোনি গ্রামে। মৃত গৃহবধূর নাম মিনতি দাস (২৫)। ঘটনায় স্বামী স্বাধন দাস ও শ্বাশুড়ি মমতা দাসকে আটক করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৬ বছর আগে রায়গঞ্জ থানার বিমল দাসের মেয়ে মিনতি দাসের সঙ্গে মালদা জেলার চাঁচল এলাকার বাকিপুর গ্রামের বাসিন্দা গনপতি দাসের ছেলে স্বাধন দাসের বিয়ে হয়।
বিয়ের দেড় বছর যেতে না যেতেই ১ লক্ষ টাকা পণের দাবিতে মিনতির উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে স্বামী সাধন সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।
গত একমাস ধরে মিনতি তাঁর বাপের বাড়িতেই থাকতেন। ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার নাম করে গত পরশু স্বামী স্বাধন দাস, ভাসুর সদো দাস ও জা এসে মিনতিকে ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ।
গুরুতর জখম অবস্থায় মিনতিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার রাতে গৃহবধূর মৃত্যু হয়।