কমলকৃষ্ণ দে, বর্ধমান: মাস্ক পড়া নিয়ে কড়া অবস্থান জেল প্রশাসনের। বর্ধমান শহরে ঢুকতে গেলে পড়তে হবে মাস্ক। ইতিমধ্যেই শহরের ২ জায়গায় করা হয়েছে নাকা চেকিং। শহরের পুরসভার সামনে ও বীরহাটায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি আরও ৪ জায়গায় বসানো হবে নাকা চেকিং।
রাজ্যের পাশাপাশি জেলার করোনাগ্রাফ নিম্নমুখী হলেও করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ে সতর্ক জেলা প্রশাসন। মাস্ক না পরলে সচেতন করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। একইসঙ্গে পুলিশের পক্ষ থেকে বিলিও করা হচ্ছে মাস্ক। মাস্ক পরার জন্য আবেদন জানিয়ে জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় চলছে পুলিশের নজরদারি ও মাইকিং। বর্ধমান শহরের বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ মোড়ে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে নাকা চেকিং। দেখা হচ্ছে মাস্ক পড়ে আছে কিনা।মাস্ক পড়ে না থাকলে একদিকে যেমন সর্তক করা হচ্ছে তেমনি বিলিও করা হচ্ছে মাস্ক।
মাস্ক পরার বার্তা দিয়ে শহরের বিভিন্ন জায়গায় জেলা পুলিশের পক্ষ বিতরণ করা হচ্ছে মাস্ক। তবে মাস্ক ব্যবহার না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে সতর্ক করে তাঁর নাম খাতায় নথিভুক্ত করে নেওয়া হচ্ছে। যাতে পরবর্তীতে মাস্ক না পরলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। পাশাপাশি শহরজুড়ে কোভিডবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে করা হচ্ছে মাইকিং।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৩ জন। তার মধ্যে বর্ধমান শহরে আক্রান্তের সংখ্যা ১০। জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা তুলনামুলক কমেছে। তবে করোনার তৃতীয় ঢেউ রোখায় এখন জেলা প্রশাসনের কাছে চ্যালেঞ্জ। এই অবস্থাতেও দেখা গেল বেশ কয়েকজনের মুখে মাস্ক নেই। অথচ তাঁদের মুখে আছে আজব যুক্তি, কারোও মাস্ক আছে কিন্তু রাস্তায় পড়ে গিয়ে নোংরা হয়ে যাওয়ায় ব্যাগে রেখে দিয়েছেন। কারোও আবার যুক্তি গতকাল বৃষ্টিতে মাস্ক ভিজে গিয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন জানিয়েছেন, “করোনার তৃতীয় ঢেউকে আটকানোর লক্ষেই আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছি। শহরের চার জায়গায় নাকা চেকিংয়ের ব্যবস্থা করা যেমন হয়েছে তেমনি জেলার বিভিন্ন জায়গায় টহলদারি করছে পুলিশ। যাঁদের মুখে মাস্ক নেই তাঁদের যেমন সতর্ক হচ্ছে তেমনি দেওয়া হচ্ছে মাস্কও। পাশাপাশি রাত ৯ টার পর যারা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে নেওয়া হচ্ছে আইনি ব্যবস্থা।“