আশাবুল হোসেন, কলকাতা: ভার্চুয়ালি তৃণমূলের ২১ জুলাই, দেশ জুড়ে পালনের প্রস্তুতি। দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, অসম, ত্রিপুরায় ২১ জুলাই পালনের প্রস্তুতি। ভিন রাজ্যেও তৃণমূলনেত্রীর ভাষণের সম্প্রচারের চেষ্টা। সর্বভারতীয় স্তরে মমতার বার্তা পৌঁছে দিতেই এই কৌশল তৃণমূলের। 


করোনার কারণে এবারও ভার্চুয়াল মাধ্যমেই পালিত হবে তৃণমূলের একুশে জুলাই। এই নিয়ে দ্বিতীয় বছর। ভার্চুয়াল মাধ্যমেই বক্তব্য রাখবেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগেই সে কথা নিজেই ট্যুইট করে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। 


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবস আমাদের কাছে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান। এই দিনটিতে আমরা আমাদের ১৩ জন বীর শহীদ, যাঁদের ১৯৯৩ সালে রাজনৈতিক হিংসার বলি হতে হয়েছিল তাঁদের স্মরণ করি। এই দিনটিতে আমরা প্রতিবছর তাঁদের বীরের মৃত্যুবরণকে শ্রদ্ধা জানাই।“


একই সঙ্গে তিনি লিখেছিলেন, 'মানুষের আশীর্বাদে বিপুল ভোটে জিতে ঐতিহাসিকভাবে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল সরকার।  অতিমারী পরিস্থিতির কারণে ২১ জুলাই দুপুর ২-এ আমি ভার্চুয়াল মাধ্যমে আমার ভাই-বোনদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখব।'


চলতি বছর ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়। ফল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কর্মী, সদস্যদের উদ্দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে এখনই কেউ বিজয় উৎসব পালন করবেন না। ২১ জুলাই বিজয় উৎসব পালনের ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে ২১ জুলাইয়েও সমাবেশ হচ্ছে না, তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তার আগের দিন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এবারও করোনা আবহে ভার্চুয়াল মাধ্যমেই ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের আয়োজন করা হবে।


তখন বাম আমল, ১৯৯৩ সালে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনার জন্য সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রের দাবিতে মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময়ে পশ্চিমবঙ্গে যুব কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালের ২১ জুলাই কয়েক হাজার কংগ্রেস কর্মী রাস্তায় নামেন। অভিযোগ, ওই মিছিলের উপর নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। তাতে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মী নিহত হন বলে অভিযোগ। ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর থেকে প্রতিবছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস হিসেবে পালন করে থাকে তৃণমূল।