ঋত্বিক প্রধান, রামনগর: কলেজের এক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। আর এবার পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সেই ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠল। ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্টের অভিযোগ, কলেজের অধ্যক্ষ, মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর ছেলের নির্দেশে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে। যদিও তা মানতে নারাজ অভিযুক্তপক্ষ। আর এ নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি।


রামনগর কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্টের দাবি, শুক্রবার সকালে কলেজে গেলে তৃণমূল আশ্রিত কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে। আর এই ঘটনা নাম জড়াল কলেজের অধ্যক্ষ এবং মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি ও তাঁর ছেলে যুব তৃণমূল নেতা সুপ্রকাশ গিরির। ঘটনায় সরগরম পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর। এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি আহত ব্যক্তি। অভিযোগ, তিনি বিজেপি করাতেই হামলা হয়েছে। তাঁর কথায়, “আমি কলেজে গেলে আমাকে ছাত্রছাত্রীদের সামনেই মারধর ধরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।“ রামনগর কলেজের আক্রান্ত ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট গৌতম জানা বলেন, অধ্যক্ষ, অখিল গিরি ও তাঁর ছেলের মদতে মারধর করা হয়েছে। যদিও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রামনগর কলেজ অধ্যক্ষ অনন্তমোহন মিশ্র ।


এদিকে ওই ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্টের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতার পাল্টা দাবি, কলেজের এক ছাত্রীকে হেনস্থা করেছেন ওই ল্যাব অ্যাটেন্ডেন্ট। তাঁর বিরুদ্ধে আরও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর থেকে বাঁচতেই মিথ্যে দোষারোপ করা হচ্ছে। এই ঘটনা সামনে আসতেই তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। পূর্ব মেদিনীপুর তৃণমূল কংগ্রেস কো-অর্ডিনেটর মামুদ হোসেন বলেন, বিজেপির কাজই হল গন্ডগোলকারীদের আড়াল করা। এক্ষেত্রেও উনি কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন, একে রাজনৈতিক রং দিয়ে আড়াল করার চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, বিজেপি করার অপরাধে মারধর করা হল, অসভ্য-বর্বর দলই একাজ করতে পারে, ঘটনার প্রতিবাদ করছি। অভিযোগের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ।