সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, পাণ্ডুয়া : ভ্যাকিসন বিক্ষোভ এবার পাণ্ডুয়া খন্যান ইটাচুনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ভ্যাকসিনের দাবিতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে স্থানীয় বাসিন্দারা গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান।


এমনকী, ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন দু’জন। বিক্ষোভের জেরে ভ্যাকসিন দেওয়া সাময়িক বন্ধ ছিল। স্থানীয়দের দাবি, বাইরে থেকে যাঁরা যাচ্ছেন, তাদের ভ্যাকসিন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে অথচ স্থানীয় গ্রামবাসীরা ভ্যাকসিন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।


তাঁদের আরও অভিযোগ, অনেক প্রৌঢ় মানুষ আছেন অনেকে আছেন, যাঁরা বাইরে কাজে যান রোজ। তাঁদের ভ্যাকসিন দেওয়া জরুরি। কিন্তু, তাঁরা ভ্যাকসিন পাচ্ছেন না। অথচ, ইটাচুনার বাইরের অনেক লোক ভ্যাকসিন নিয়ে যাচ্ছেন।


স্থানীয়দের দাবি, এমন লোক পাওয়া গেছে, যিনি উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বাইরের লোক যাঁরা পাচ্ছেন তাঁরা পেলে কোনও অসুবিধা নেই। কিন্তু ইটাচুনা অঞ্চলের বাসিন্দাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।


এই প্রেক্ষিতে, খন্যান প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ব্লক থেকে যেভাবে লিস্ট দেওয়া হচ্ছে সেই অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। গ্রামের হাসপাতাল, তাই আমরা চাই স্থানীয়রা ভ্যাকসিন পাক। কিন্তু আমাদের হাতে কিছু নেই ব্লক প্রশাসনের পাঠানো লিস্ট অনুযায়ী আজ তিন'শ জনকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। 


শুধু হুগলি নয়, ভ্যাকসিন নিয়ে হাহাকারের ছবি ধরা পড়েছে অন্য জেলাতেও। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে এদিন বৃষ্টির মধ্যেই ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লাইন দিয়েছিলেন গ্রাহকরা। বৃষ্টি জোরে আসতেই ভিতরে ঢোকার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। তৈরি হয় চরম বিশৃঙ্খলা। 


উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দোলুয়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভ্যাকসিন না মেলার অভিযোগে, ক্ষোভে ফেটে পড়লেন গ্রাহকরা। প্রতিবাদে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। 


রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, এদিন শুধুমাত্র কোভিড যোদ্ধা ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই খবর ছিল না অনেক সাধারণ গ্রাহকের কাছে। ফলে হাসপাতালে এসেও ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।  পরিস্থিতি সামাল দিতে মাইকে ঘোষণা করতে হয় কর্তৃপক্ষকে।


উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া হাসপাতালে গ্রাহকদের অভিযোগ, মঙ্গলবার থেকে টানা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও শুক্রবার বেলা গড়ালেও মেলেনি ভ্যাকসিন।


সব মিলিয়ে রাজ্যে ভ্যাকসিন ভোগান্তি অব্যাহত।